তদন্ত করছেন অফিসারেরা। ছবি: পিটিআই
ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে ভাড়া গাড়িতে আসা দু’জনের ছবি দেখা গেল সিসি টিভি ক্যামেরায়। প্রশ্ন উঠছে, দিল্লির উচ্চ নিরাপত্তা বলয়ের ওই অঞ্চলে ভাড়া গাড়ি ঢুকল কী ভাবে? ওই গাড়িতেই কি এসেছিল বিস্ফোরক? বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া চিঠির বয়ান অনুযায়ী সত্যিই যদি এটা ‘শুধু মাত্র ট্রেলার’ হয়, তা হলে এখন কি বড় কোনও হামলা এর পর হওয়ার আশঙ্কা থাকছে? রাজধানীতে এমন দুই সন্দেহভাজনের খোঁজ না পাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অমিত শাহের মন্ত্রকের কপালে।
ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তাঁরা দেখেন, একটি ভাড়া গাড়ি করে দু’জন বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে সেখানে এসেছিল। এক রাতের মধ্যে খুঁজে বের করা হয় সেই ভাড়া গাড়িটি। চালকের বয়ানের ভিত্তিতে তৈরি হয় দুই সন্দেহভাজনের রেখাচিত্র। সেই ছবি নিয়েই এখন দু’জনের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছে পুলিশ।
রাতে বিস্ফোরণের পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রাতেই শুরু হয় তদন্ত। সন্দেহজনক চিঠি, বিস্ফোরক লেগে থাকা বল বিয়ারিং ও একটি গোলাপি ওড়না উদ্ধার করে পুলিশ। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘এটি ট্রেলার মাত্র। আমরা তোমাদের যখন খুশি, যে ভাবে খুশি শেষ করে দিতে পারি’। আমেরিকার বায়ুসেনার হাতে নিহত ইরানের সেনা কাসেল সুলেমানি ও মহসেন ফাকরিয়াদেকে ‘শহিদ’ হিসাবে উল্লেখ করে বড় হামলার সতর্কবার্তা দেওয়া হয় চিঠিতে।
চিঠির হুমকিই ঘুম উড়িয়েছে প্রশাসনের। আশঙ্কা সত্যি করে যদি ওই দু’জন বড় কোনও হামলার ছক ইতিমধ্যে করে ফেলে থাকে, তাহলে তা আটকাতে সন্ধান পেতেই হবে এদের। তাই এখন দুই অজ্ঞাতপরিচয়ের সন্ধানে ছুটে চলেছে পুলিশ। ইজরায়েলের পক্ষ থেকেও ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি পুরোপুরি আস্থা রাখা হয়েছে।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার জানিয়েছেন, ভারতের প্রতি তাঁর বিশ্বাস আছে। তিনি জানেন ভারতে ইজরায়েলি মানুষদের নিরাপত্তার কোনও অভাব হবে না। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ইজরায়েলের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে কথা হয়েছে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের। কথা বলেছেন দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীরাও। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ইজরায়েলের দূতাবাস প্রতিনিধিদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy