বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রেখেছে দিল্লি পুলিশ। ছবি: পিটিআই।
দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের কাছে আইই়ডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জইশ উল হিন্দ। শনিবার তদন্তকারীরা ‘টেলিগ্রাম’ অ্যাপের মাধ্যমে হওয়া একটি কথোপকথন উদ্ধার করেছেন, যার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে শুক্রবার ওই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি। যদিও টেলিগ্রামে পাঠানো ওই বার্তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
তদন্তকারীদের দাবি, ‘টেলিগ্রাম’-এর একটি নির্দিষ্ট চ্যানেলের মাধ্যমে ওই কথোপকথন চালানো হচ্ছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, জঙ্গিগোষ্ঠীটির নেতারা ইজরায়েলি দূতাবাসের কাছে ওই হামলা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ‘আস্ফালন’ করছিলেন। সেই সূত্রেই তদন্তকারীদের অনুমান, হামলার পিছনে রয়েছে ওই গোষ্ঠীটি। এর আগে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির ইজরায়েলি দূতাবাসের একটি গাড়িতে ‘স্টিকার বোমা’ বিস্ফোরণ ঘটে। তার পিছনে ইরানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ফলত শুক্রবারের বিস্ফোরণের পিছনেও ইরান-যোগ উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। ঘটনার তদন্তে নেমে গত এক মাসের মধ্যে ইরানের যে সব নাগরিক দিল্লি সফর করেছিলেন এবং যাঁরা বর্তমানে দেশের রাজধানীতে রয়েছেন তাঁদের তালিকা প্রাদেশিক বিদেশি নথিভুক্তিকরণ অফিস (এফআরআরও)-এর কাছে চেয়েছে দিল্লি পুলিশ।
বিস্ফোরণে জড়িতদের খুঁজে বের করতে ভারতের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নেমেছে তেল আভিভও। ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত রন মালকা বলছেন, ‘‘কারা এর পিছনে রয়েছে তা খুঁজে বের করতে আমরা ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করছি। তবে এখনই কোনও গোষ্ঠীর নাম বলা উচিত হবে না।’’
দিল্লি পুলিশ বিস্ফোরণের সময়কার সিসিটিভি ফুটেজও উদ্ধার করেছে। ওই ফুটেজে একটি গাড়ি থেকে দু’জনকে নামতে দেখা গিয়েছে। ওই দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বিস্ফোরণস্থলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, সেই দৃশ্যও ধরা পড়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই গাড়িটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তার চালকের সন্ধানও মিলেছে। একই সঙ্গে সন্দেহভাজন ওই দুই ব্যক্তির স্কেচও আঁকা হচ্ছে। বিস্ফোরণস্থল থেকে একটি ব্যাটারি এবং কিছু বৈদ্যুতিক তার উদ্ধার হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, টাইমারের সাহায্যেই ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy