নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং বি ডি সাভারকরের বিরুদ্ধে মুখ খোলার দায়ে প্রবীণ ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিবকে আইনি নোটিস পাঠালেন আলিগড় দেওয়ানি আদালতের এক আইনজীবী।
আইনজীবী সন্দীপকুমার গুপ্তের দাবি, সোমবার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে হাবিব যে বক্তৃতা করেছেন, তা ‘ভারতের ঐক্য এবং বৈচিত্রের বিরোধী, সার্বভৌমত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ।’ কী বলেছিলেন হাবিব? গুপ্ত নিজেই সে সব উল্লেখ করেছেন নোটিসে। তাতে লেখা আছে, ‘‘আপনি বলেছেন, অমিত শাহের উচিত নিজের পদবি বর্জন করা। শাহ একটা ইরানি শব্দ। আপনি বলেছে, মুসলিমদের আক্রমণ করার জন্যই আরএসএস গড়া হয়েছে। দ্বিজাতিতত্ত্বের প্রবর্তক জিন্না হওয়া সত্ত্বেও আপনি বলেছেন, হিন্দুত্ববাদী সাভারকর জাতির মধ্যে বিভাজন এনেছিলেন। স্বচ্ছতা অভিযানের প্রচারে গাঁধীর চশমার ছবি দেওয়া নিয়েও পরিহাস করেছেন।’’
এই সব মত প্রকাশের স্বাধীনতা কি এ দেশে নেই? গুপ্ত সে তর্কে না গিয়ে অভিযোগ করেছেন, হাবিব বিষ ছড়াচ্ছেন। সাত দিনের মধ্যে তাঁর কাছ থেকে নোটিসের জবাব না পেলে তিনি আইনি পদক্ষেপ করবেন। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকেই হাবিবের ওই ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য সম্পর্কে তিনি জানতে পেরেছেন বলেও মত আইনজীবীর।
পুলওয়ামা কাণ্ডেও জড়িত ডিএসপি দেবেন্দ্র? উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্ক চলছে। চলছে লাগাতার আন্দোলনও। গত মাসেই ওই আইন চালু করা নিয়ে গেজেটেড নোটিসও জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সিএএ বিতর্ককে সামনে রেখেই সোমবার প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জড়িয়ে মন্তব্য করেন ইতিহাসবিদ ইরফান হাবিব।