বাঁ দিক থেকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, আমেরিকান বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো এবং প্রতিরক্ষাসচিব মার্ক এস্পার। ছবি সংগৃহীত।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক এক সপ্তাহ আগে প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আগামিকাল বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত। আজ নয়াদিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন আমেরিকান বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো এবং প্রতিরক্ষাসচিব মার্ক এস্পার। ‘টু প্লাস টু’ কাঠামোয় তাঁদের সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের বৈঠক হবে। পাশাপাশি তাঁরা দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গেও।
কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, এই সফরের মূল উদ্দেশ্য, ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে রণকৌশলগত সম্পর্ক আরও গভীর করা। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উদার এবং উন্মুক্ত নীতি তৈরি করা। সেখানে বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত ক্ষেত্রে গত কয়েক বছর ধরে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে রুখতে চাইছে আমেরিকা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান-সহ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। আগামিকালের বৈঠক সেই লক্ষ্যে এক ধাপ এগোনো বলেই মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক সূত্র।
বৈঠকে যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেটি হল, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একটি নতুন চুক্তি— ‘বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট’ (বিইসিএ)। এই সফরে চুক্তিটি চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলছে। এই চুক্তির ফলে আমেরিকার নজরদার স্যাটেলাইটগুলির মাধ্যমে প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের হালহদিশ পাবে ভারত। এর ফলে উচ্চপ্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোনের মতো স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জামের ব্যবহার আরও নিখুঁত করা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারত-আমেরিকা ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক, হতে পারে একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি
ভারতের সঙ্গে বৈঠক সেরে শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ, এবং ইন্দোনেশিয়াতেও যাবেন আমেরিকার কর্তারা। পম্পেয়ো জানান, “সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা এবং মত বিনিময়ের জন্য আমরা উন্মুখ হয়ে রয়েছি। স্বাধীন, সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী দেশগুলির মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্মুক্ত ও উদার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়ে তোলাটাই আমাদের লক্ষ্য।’’
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, পূর্ব লাদাখে যখন চিনের সঙ্গে স্নায়ুর লড়াই চলছে, তখন আমেরিকার সঙ্গে এই সামরিক বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যে চারটি বিষয় নিয়ে দু’দেশের কর্তারা কাল টেবিলে বসতে চলেছেন, তার সব ক’টিই চিনের উপর চাপ বাড়াবে। এই আলোচনা ভারত-চিন সম্পর্কে কী ছাপ ফেলে, এ বার সেটাও দেখতে চাইছেন সাউথ ব্লকের কর্তারা। এই চারটি বিষয় হল, আঞ্চলিক নিরাপত্তাগত সমন্বয়, প্রতিরক্ষাগত তথ্য বিনিময়, দু’দেশের সামরিক স্তরে আলোচনা ও যোগাযোগ বাড়ানো এবং প্রতিরক্ষা-বাণিজ্য।
আরও পড়ুন: দিল্লির দূষণ দমনে আইন শীঘ্রই: কেন্দ্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy