ট্রেনের গায়ে আসন সংরক্ষণের তালিকা আঠা দিয়ে আটকানোর রীতি বছরখানেক আগেই ছেড়েছিল রেল। এ বার টিকিট পরীক্ষকদের কাছেও থাকছে না কাগজে ছাপা আসন সংরক্ষণের তালিকা। তার বদলে তাঁদের কাছে হ্যান্ড হেল্ড টার্মিনাল (এইচ এইচ এল) হিসেবে থাকবে ‘অনলাইন-ট্যাব’। গত শনিবার থেকে শিয়ালদহ-রাজধানী এক্সপ্রেসে চালু হয়েছে ওই ব্যবস্থা।
রেলের দাবি, এই ব্যবস্থায় টিকিট পরীক্ষা করে যাত্রীদের বার্থ চিহ্নিত করতে আগের চেয়ে অনেক কম সময় লাগবে টিকিট পরীক্ষকদের। পাশাপাশি, ট্রেনে কোন বার্থে কোন যাত্রী রয়েছেন, সেই তথ্য সব টিকিট পরীক্ষকের কাছে একই সময়ে পৌঁছবে। ফলে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা যাত্রীদের পক্ষে ট্রেন ছাড়ার পরে খালি থাকা আসন সংরক্ষণের সুযোগ পাওয়ার প্রক্রিয়া আগের থেকে অনেক বেশি সরল এবং স্বচ্ছ হবে।
রেল সূত্রে খবর, আগে আসন সংরক্ষণের তালিকা দেখে যাত্রীরা কে, কোন আসনে রয়েছেন তা চিহ্নিত করতে অনেক বেশি সময় লাগত। কোনও যাত্রী অনুপস্থিত থাকলে বা শেষ মুহূর্তে টিকিট বাতিল করলে সেই আসন অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা কোনও যাত্রীকে দেওয়ার প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ ছিল। পাশাপাশি, টিকিট পরীক্ষকেরা পৃথক ভাবে ওই প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকার ফলে আসন পাইয়ে দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও উঠত।
রেল কর্তাদের দাবি, নতুন ব্যবস্থায় কোন কামরায়, কোন আসনে কে রয়েছেন তার তাৎক্ষণিক হিসেব (রিয়েল টাইম ইনফর্মেশন) ট্যাব থেকে পাওয়া যাবে। ফলে খালি আসন বিক্রি করা রেলের পক্ষে তুলনায় সহজ হবে। টিকিট পরীক্ষকদের হাতে পিওএস (পয়েন্ট অব সেলিং) মেশিন দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে রেলের। এতে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা অর্থ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনেকটাই কমবে বলে আশা রেলকর্তাদের। তাতে রেলের আয়ও বাড়বে বলেই মনে করছেন আধিকারিকেরা।
রেল সূত্রে খবর, রাজধানী এক্সপ্রেসে ওয়াইফাই প্রযুক্তির সুবিধা থাকায় এই ব্যবস্থা চালুর জন্য ওই ট্রেনটিই বেছে নেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, “কয়েক দিনের মধ্যে হাওড়া-রাজধানী এক্সপ্রেসেও এই ব্যবস্থা চালু হবে। অন্য কয়েকটি রাজধানী এক্সপ্রেসেও ওই ব্যবস্থা চালু করা হবে।”
রেলের দাবি, এই পদ্ধতি পরিবেশবান্ধবও। কারণ, সব টিকিট পরীক্ষকের কাছে একটি করে ছাপানো আসন সংরক্ষণ তালিকা দিতে গিয়ে অনেক কাগজ অপচয় হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy