ভারতকে সুইস ব্যাঙ্কের তথ্য দিতে বাধা নেই বলে এক মামলায় রায় দিল সুইৎজ়ারল্যান্ডের শীর্ষ আদালত। কর ফাঁকির অভিযোগ থাকায় দু’জন ভারতীয়ের তথ্য চেয়েছে নয়াদিল্লি। সেই সূত্রেই এই রায়। গত বছর এমন অনুরোধ জানিয়েছিল ফ্রান্সও। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সুইস আদালতের বৃহস্পতিবারের এই রায় ভারতের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এইচএসবিসি-র সুইস শাখায় কর্মরত এক ফরাসি নাগরিক হার্ভে ফলকাইনি ২০০৮ সালে কয়েক হাজার গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলেন। তাঁর সন্দেহ ছিল, এই গ্রাহকেরা কর ফাঁকির সঙ্গে যুক্ত। এতে দেশে দেশে আলোড়ন পড়ে যায়। গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে না পারায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে সুইস ব্যাঙ্কগুলি। সুইস আদালত তাঁর নামে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ঘোষণা করলেও, আজও ফলকাইনির নাগাল পায়নি সুইৎজ়ারল্যান্ড।
ফ্রান্স এক দম্পতির অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে মামলা করেছিল। কিন্তু গত বছর এ দেশের শীর্ষ আদালত জানায়, এইচএসবিসি-র জেনিভা শাখা থেকে চুরি করা তথ্যের ভিত্তিতে আবেদন করা হয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। চোরাই তথ্যের ভিত্তিতে তথ্য দেওয়ার দায় নেই সুইস ব্যাঙ্কের। এখানেই তফাৎ গড়ে দিয়েছে ভারতের ক্ষেত্রে। সুইস শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ভারত তথ্য পাবে কারণ তারা অর্থের বিনিময়ে জোগাড় করা বা চোরাই তথ্যের ভিত্তিতে আবেদন করেনি। সে কারণে ভারতের কর কর্তৃপক্ষকে তথ্য দিতে বাধা নেই সুইস ব্যাঙ্কের।
এই রায়ে অন্য দেশের পক্ষেও সুইস ব্যাঙ্কের তথ্য পওয়ার দরজা খুলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। রায়ের আর একটি দিকও তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১২ সালে জার্মানির নর্থ রাইন ওয়েস্টফলিয়া প্রদেশের সরকার ১ কোটি ৩ লক্ষ ইউরো দিয়ে ৬টি সিডিতে সুইস ব্যাঙ্কের তথ্য জোগাড় করেছিল। কিন্তু বাঁকা পথে যাঁরা তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তাঁদের পক্ষে সুইস ব্যাঙ্কের সহযোগিতা পাওয়া যে সম্ভব হবে না, তা-ও স্পষ্ট হয়েছে ভারত সম্পর্কে সুইস শীর্ষ আদালতের রায়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy