ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্যতম অস্ত্র ‘আইএনএস-চক্র’।- সংগৃহীত।
ভারতীয় নৌসেনার জন্য ৪০,০০০ কোটি টাকা খরচ করে ছ’টি সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ বানানোর প্রস্তাবে সিলমোহর দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাসর্বোচ্চ সম্পন্ন ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল (ডিএসি)-এর বৈঠকেই মিলেছে এই সবুজ সঙ্কেত। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য সামরিক সাবমেরিনের পাশাপাশি ৫০০০ ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র কেনার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানা যাচ্ছেসংবাদ সংস্থা সূত্রে।
ছ’টি সাবমেরিন বানাতে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’-এর রাস্তায় হাঁটবে ভারত। এই মডেলে একটি বেসরকারি সংস্থা কোনও একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য বিদেশী প্রতিরক্ষা সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে। এই মডেলে এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুত করছে ভারত। এর আগে ১১১টি সামরিক হেলিকপ্টার বানানোর প্রকল্পের ক্ষেত্রেও একই পথে হেঁটেছিল ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল২১,০০০ কোটি টাকা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘ভারতের মাটিতে এই ছ’টি অত্যাধুনিক সাবমেরিন বানাতে পারলে দেশে ডুবোজাহাজ বানানোর পরিকাঠামোই বদলে যাবে। নকশা এবং উত্পাদন দু’টি ক্ষেত্রেই অনেকটা এগিয়ে যাবে ভারত। প্রযুক্তিগত ভাবেও অগ্রগতি হবে ভারতের।’’
আরও পড়ুন: ভোট বাজেট: কৃষক আর শ্রমিকের মন পেতে একগুচ্ছ ঘোষণা
এই প্রকল্পের অংশীদার হতে বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই উত্সাহ প্রকাশ করেছে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম। তাঁর মধ্যে অন্যতম সুইডেন, জার্মানি, ফ্রান্স এবং রাশিয়া। এশিয়ার বিভিন্ন সাগর এবং মহাসাগরের উপরে ও নিচে চিনের বাড়তে থাকা আধিপত্যে লাগাম টানতে ভারতের এই ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’-এর মডেল কার্যকর হতে পারে বলেই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: ৫ লাখ পর্যন্ত করযোগ্য আয়ে ছাড়, তার উপরে আগের মতোই হিসাব
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy