প্রতীকী ছবি।
‘অনুরোধ’ এসেছিল এক ডজনেরও বেশি দেশের থেকে। তাই গম রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেও পিছিয়ে আসতে হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। খাদ্যসঙ্কটের মোকাবিলার জন্য পাঠানো হচ্ছে গম। এর ফলে অদূর ভবিষ্যতে দেশের বাজারে গমের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘরোয়া চাহিদা মেটাতে গত ১৩ মে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র। আর ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে নয়াদিল্লির ওই সিদ্ধান্তের জেরে ‘আগুন লেগেছিল’ ইউরোপে গমের বাজারে। পাশাপাশি, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশেও মূল্যবৃদ্ধির আঁচ লাগে। সেই দেশগুলির অনুরোধের গম রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত শিথিল করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব সুধাংশু পাণ্ডে জানিয়েছেন।
খাদ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, ১৩ মে-র পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১৮ লক্ষ টন গম বিদেশে পাঠিয়েছে ভারত। সুধাংশু বলেন, ‘‘বাংলাদেশ, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং আফগানিস্তানের মতো দেশে গম পাঠানো হয়েছে। অনেক দেশেই তাঁদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে গম চেয়েছিল। সেই চাহিদা মেটাতেই গম সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যবসার জন্য নয়।’’
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে বিশ্বব্যাপী কৃষি বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম গম উৎপাদনকারী দেশ ইউক্রেন। সারা ইউরোপে গম সরবরাহকারী দেশগুলির মধ্যে বড় বাজার দখল করে এই দেশ। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে গম রফতানিতেও রাশ টেনেছে জেলেনস্কির দেশ। এর ফলে সঙ্কট বেড়েছে। অন্য দিকে, এশিয়া তথা বিশ্বে অন্যতম গম উৎপাদনকারী ভারত।
যদিও কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল সম্প্রতি বলেছেন, ‘‘গম রফতানির বাণিজ্যের অংশীদার হতে আমরা আগ্রহী নই। তবে কোনও দেশের খাদ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য ভারত গম সরবরাহ করতে প্রস্তুত।’’ ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে জার্মানি সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন অনুমতি দিলে ভারত বাকি বিশ্বকে খাদ্যশস্যের জোগান দিতে এগিয়ে আসতে পারে। এ বার সেই প্রতিশ্রুতি পালনে তৎপর হল তাঁর সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy