নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী— ফাইল চিত্র।
নয়া মানচিত্র এবং রামের জন্মভূমি ঘিরে টানাপড়েনের আবহে নয়াদিল্লি-কাঠমান্ডু আলোচনা শুরু হল। সোমবার নেপালের বিদেশ সচিব শঙ্করদাস বৈরাগীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন কাঠমান্ডুর ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয়মোহন কাওয়াত্রা। যদিও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এ নিয়ে প্রকাশ্যে তেমন কোনও উৎসাহ দেখানো হয়নি। বিষয়টিকে ‘রুটিন আলোচনা’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সংক্রান্ত সহযোগিতার বিষয়গুলি পর্যালোচনার জন্য ২০১৬ সালে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া (ওএসএম) গঠিত হয়েছিল। এটি অষ্টম দফার ‘রুটিন ওএসএম বৈঠক’। এর আগে ২০১৯ সালের ৮ জুলাই ওএসএম বৈঠক হয়েছিল। বিনয় এবং শঙ্করের বৈঠকে যে দ্বিপাক্ষিক প্রকল্পগুলির কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন হয়েছে, তার মধ্যে দু’টি ওলির সঙ্গে যৌথ ভাবে সূচনা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রথমটি, বিহারের মোতিহারি থেকে নেপালের অমলেখগঞ্জ তেল পাইপলাইন। দ্বিতীয়টি, বিরাটনগর সীমান্তের ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট।
ভারতীয় এলাকা কালাপানি, লিপুলেখ এবং লিম্পিয়াধুরাকে নেপালের মানচিত্রে ‘জুড়ে’ নেপালের পার্লামেন্টে বিল পাশ করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। পাশাপাশি, দক্ষিণ নেপালের বীরগঞ্জ জেলার অযোধ্যা গ্রামকে রামের জন্মস্থান বলে দাবি করেও বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন তিনি। ওলির এমন আচরণের পিছনে চিনের উস্কানি রয়েছে বলে নেপালের সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি।
আরও পড়ুন: ঘৃণা-ভাষণ নিয়ে সাফাই দিল ফেসবুক, কৈফিয়ত চাইবে সংসদীয় কমিটি
গত সপ্তাহে ওলি সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক বলরাম বানিয়া খুনের পরে নেপাল জুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একটি নেপালি দৈনিকের সহকারী সম্পাদক বলরাম সম্প্রতি ‘তথ্যপ্রমাণ’ পেশ করে দাবি করেছিলেন, সীমান্ত পেরিয়ে এসে চিনা সেনা নেপালের গোর্খা জেলার রুই গ্রাম দখল করে নিয়েছে। কিন্তু সব জেনেও বিষয়টি গোপন করছে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির সরকার।
আরও পড়ুন: পিছোবে না পরীক্ষা, সেপ্টেম্বরেই জেইই-নিট, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy