দেপসাং নিয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনা ভারতের। —ফাইল চিত্র
প্যাংগং হ্রদ খালি হতেই এ বার দেপসাং থেকে চিনা বাহিনীকে সরাতে উদ্যত হল ভারত। শনিবার সকাল থেকে রাত ২টো পর্যন্ত দুই দেশের সেনাস্তরে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার বৈঠক হয়েছে। সেখানে দেপসাং, গোগরা এবং উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকা থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে বলে চিনকে জানিয়েছে ভারত।
প্যাংগং হ্রদের তীর থেকে চিনা বাহিনী সরে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেপসাং নিয়ে বৈঠক হবে বলে আগেই ঠিক হয়েছিল। সেই মতো শনিবার সকাল ১০টা থেকে বৈঠক শুরু হয়। তাতে ভারতের তরফে নেতৃত্ব দেন লেহ্-র ২৪ কর্পস-এর কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পিজিকে মেনন। চিনের তরফে ছিলেন দক্ষিণ শিনজিয়াং প্রদেশের কম্যান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন।
সেনা সূত্রে খবর, লাদাখ সীমান্তে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দুই পক্ষই একমত। তবে দেপসাং, গোগরা এবং উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকা থেকে চিনা বাহিনীকে সরানো নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। দু’পক্ষের মধ্যে ফের একপ্রস্থ আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। প্যাংগং নিয়ে সমঝোতার পর দুই দেশের মধ্যে তিক্ততার রেশ অনেকটাই কেটেছে। তাই ইতিবাচক ফলই আসা করছেন কূটনীতিকরা।
দীর্ঘ ৯ মাস ধরে লাদাখ নিয়ে সঙ্ঘাত চলছিল দুই দেশের মধ্যে। দফায় দফায় বৈঠকেও কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। শেষমেশ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নবম দফার বৈঠকে প্যাংগংয়ের তীর থেকে সেনা সরাতে রাজি হয় দু’পক্ষ। সেই অনুযায়ী, ধীরে ধীরে যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং সামরিক পরিকাঠামো সরতে শুরু করে। প্যাংগং নজরদারি মুক্ত বলে বৃহস্পতিবার নিশ্চিত কর হয় দু’তরফেই। তার পরই দেপসাং নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
তবে দেপসাং থেকে বাহিনী হঠাতে শুরুতেই কেন চিনকে চাপ দিল না ভারত, তা নিয়ে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, দেপসাংয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন হেলমেট টপ এবং ইয়েলো বাম্পের মতো এলাকাগুলি ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর থেকেই অনধিকৃত এলাকা বলে চিহ্নিত ছিল। সেখান থেকে চিনা বাহিনীকে আগে হঠানো উচিত ছিল। তবে কেন্দ্রের যুক্তি ছিল, দেপসাং পুরনো সমস্যা। তাই তা নিয়ে আলাদা ভাবে আলোচনা হওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy