পিকা মেশিনগান নিয়ে রাজনাথ সিংহ।—ছবি পিটিআই।
পূর্ব লাদাখে সীমান্ত প্রশ্নে চিনের সঙ্গে জটিলতা এখনও কাটেনি। দখল করা জমি থেকে সরে যাওয়ার প্রশ্নে অনড় বেজিং। এই আবহে আজ লাদাখে গিয়ে সীমান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেনার প্রতি বার্তায় তিনি বলেন, ‘‘আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে তা কতটা মেটানো সম্ভব তা বলা কঠিন। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত। পৃথিবীর কোনও দেশ ভারতের এক ইঞ্চি জমি কেড়ে নিতে পারবে না।’’
আজ লে-তে হাতে পিকা মেশিনগান নিয়ে রাজনাথ সিংহের গুলি ছোড়ার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা, সেনা মহড়া দেখার পিছনে উদ্দেশ্য ছিল চিনকে বার্তা দেওয়া। প্যাংগং লেক থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে লুকাং বর্ডার পোস্টে দাঁড়িয়ে নিজের বক্তব্যেও রাজনাথ জানান, কোনও দেশের আত্মসম্মানে আঘাতের চেষ্টা ভারত করে না। কিন্তু কেউ যদি ভারতের আত্মসম্মানে আঘাত করে তা হলে এ দেশ ছেড়ে কথা বলে না।
৩ জুলাই লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সফরের দু’সপ্তাহের মধ্যে সেখানে গেলেন রাজনাথ সিংহ। সরকারি সূত্রের মতে, চিনা সেনার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে এগিয়ে আসা আদৌ ভাল ভাবে নিচ্ছে না নয়াদিল্লি। ভারত যে ক্ষুব্ধ ও সমাধান সূত্র না পাওয়া গেলে প্রয়োজনে মোদী সরকার যে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে বেজিংকে সেই বার্তা দিতেই পর পর সেখানে গেলেন সরকারের দুই শীর্ষ নেতা। রাজনীতিকদের মতে, চিনের সঙ্গেই দেশের জনসাধারণকে বার্তা দেওয়ার দায় রয়েছে মোদী সরকারের। বিশেষ করে চিন যে ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে সে বিষয়ে বিরোধীদের সঙ্গেই প্রাক্তন সেনাদের একাংশ সরব হওয়ায় রীতিমতো অস্বস্তিতে মোদী সরকার।
এই পরিস্থিতিতে ভারত যে সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে কোনও সমঝোতা করার রাস্তায় যেতে রাজি নন, দেশের মানুষকে সেই বার্তা দেওয়ার দায় বর্তেছে শাসক শিবিরের উপর। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সীমান্তে দাঁড়িয়ে চিনকে নয় কড়া বার্তা দিলেন মোদী-রাজনাথেরা। তার পরেও যদি প্যাংগং লেকের উত্তরে ফিঙ্গার চার থেকে আট পর্যন্ত এলাকা থেকে চিন সরতে না রাজি হয় তখন কী হবে? কারণ লাদাখের ওই ভূ-ভাগের জন্য দু’দেশের সেনা সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ুক, তা বর্তমান পরিস্থিতিতে কাম্য নয় নয়াদিল্লির কাছে। কূটনীতিকদের মতে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাতি চওড়া করে হুঙ্কার দিলেও সমাধান সূত্র যদি বেরিয়ে আসে তা হলে তা আলোচনার টেবিলেই বেরোতে পারে। সেই কারণে শক্তি প্রদর্শনের সঙ্গে আলোচনাকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy