লাদাখ নিয়ে ফের হবে আলোচনা। ছবি: পিটিআই।
লাদাখের মলডোতে ভারত এবং চিনের সেনা কর্তাদের বৈঠকের চার দিন পরে বিষয়টি নিয়ে সরব হল বিদেশ মন্ত্রক। আজ মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব ২১ সেপ্টেম্বর ওই বৈঠকের পরে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিটি উল্লেখ করে বলেছেন, “ভবিষ্যতে ভুল বোঝাবুঝি, ভুল পদক্ষেপ এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় আরও সেনা পাঠানো থেকে বিরত থাকতে সীমান্তে সেনাদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দু’পক্ষ।“ তাঁর কথায়, “সীমান্তের স্থিতাবস্থা একতরফা ভাবে যাতে পাল্টানো না হয় সেটা নিশ্চিত করাই এখন লক্ষ্য।“ বিদেশ মন্ত্রকের মতে, সংঘর্ষ বিন্দুগুলি থেকে সম্পূর্ণ সেনা সরানোর জন্য ভারত এবং চিন কাজ শুরু করেছে। কিন্তু সেইসঙ্গে ধারাবাহিক ভাবে স্থিতাবস্থা বজায় রাখাটাও জরুরি।
অনুরাগ আজ জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই আবার ভারত ও চিনের মধ্যে সেনা স্তরে বৈঠক হবে। দু’দেশের মধ্যে বিদেশ মন্ত্রক পর্যায়ের মেকানিজম ডব্লিউএমসিসি-র বৈঠকও আসন্ন বলেই জানিয়েছে সাউথ ব্লক।
তবে পরিস্থিতি নিয়ে এই ব্যাখ্যা দিলেও পূর্বাবস্থা ফিরবে কি না বা কবে ফিরবে তার কোনও জবাব নেই বিদেশ মন্ত্রকের কাছে। সূত্রের মতে, শীত ক্রমশ এগিয়ে আসায় সীমান্তে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে চিন। কিন্তু তারা যে প্যাংগং হ্রদের কাছে চার থেকে আট নম্বর ফিঙ্গার এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় জমি দখল করে নির্মাণ কাজ করেছে সেখান থেকে ফিরে যাওয়ার প্রশ্নে নীরব বেজিং। তাই পাল্টা জবাবে প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তে দখল করা একাধিক এলাকা ভারত ছাড়বে না বলে চিনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে শান্তি ফেরানোর প্রশ্নে দু’দেশ রাজি হলেও দখল করা জমি ছাড়ার প্রশ্নে চিন যতটা নীরব, ততটাই বেহাত হওয়া জমি ফেরতের প্রশ্নে মুখে কুলুপ ভারতীয় সেনার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy