Advertisement
০৫ অক্টোবর ২০২৪

বিজেপি-র চিন্তা বাড়িয়ে রাহুল ফের হায়দরাবাদে

দু’ হপ্তায় দু’বার। বিজেপির চিন্তা বাড়িয়ে রাহুল গাঁধী ফের ছুটলেন হায়দরাবাদে। আত্মঘাতী দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলার জন্মদিনে সতীর্থ ও পরিবারের সঙ্গে অনশনে সামিল হতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ২১:১১
Share: Save:

দু’ হপ্তায় দু’বার। বিজেপির চিন্তা বাড়িয়ে রাহুল গাঁধী ফের ছুটলেন হায়দরাবাদে। আত্মঘাতী দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলার জন্মদিনে সতীর্থ ও পরিবারের সঙ্গে অনশনে সামিল হতে।

আজই মহাত্মা গাঁধীর মৃত্যুবার্ষিকী। রোহিতের সঙ্গে মহাত্মারও তুলনা টানলেন রাহুল। একসময় মহাত্মাকেও তাঁর কথা বলতে দেওয়া হয়নি। আর বিজেপি এবং আরএসএস এখন যুবসমাজের স্বপ্ন চুরমার করে দিচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে ধর্ম ও জাতের নামে। রাহুল কাল রাতেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। রোহিতের জন্মদিনে মাঝরাতেই সামিল হন মোমবাতি মিছিলে। আর আজ সকাল থেকে রোহিতের মা-ভাই ও সতীর্থদের সঙ্গে দিনভর প্রতিবাদ অনশনে বসেন। যে অনশন মঞ্চে দফায় দফায় স্মৃতি ইরানি, বন্দারু দত্তাত্রেয়-র ইস্তফার দাবিতে সরব হন ছাত্রেরা।

যে ভাবে রাহুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বার বার ছুটে যাচ্ছেন, তা নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন নয় বিজেপি শিবির। বিজেপি নেতৃত্বের চিন্তা অন্যত্র। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। সংস্কারের বিলগুলি এখনও থমকে পড়ে রয়েছে। রাহুল যে ভাবে দলিত ইস্যুকে হাওয়া দিয়ে পারদ চড়াচ্ছেন, তাতে অশনি সঙ্কেত দেখছে বিজেপি। কারণ, ফের কংগ্রেস কেন্দ্রের দুই মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও বন্দারু দত্তাত্রেয়-র ইস্তফার দাবিতে সংসদ অচল রাখতে পারে। গত বছর সুষমা স্বরাজ, বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া ও শিবরাজ সিংহ চৌহানের ইস্তফার দাবিতে এ ভাবেই সংসদ স্তব্ধ রেখেছিল কংগ্রেস। শীতকালীন অধিবেশনেও পাশ করতে দেয়নি পণ্য ও পরিষেবা কর বিল।

বিজেপি-র এক শীর্ষ নেতা আজ বলেন, ‘‘রাহুলকে সামনে নিয়ে আসার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার এখন তাঁর হাতেই ছেড়ে দিচ্ছেন সনিয়া গাঁধী। আর তাতে সমস্যা হল, তিনি কী চাইছেন, সেটি জানার জো নেই। রাহুল এর আগেও ঝুপড়িতে রাত কাটিয়েছেন, মজদুরি করেছেন, তার পরেও লোকসভায় কংগ্রেস ৪৪টি আসন পেয়েছে। কিন্তু সংসদে দশ জন মিলে হল্লা করলেই তা অচল হয়ে যায়। আর বিলগুলি সংসদ ছাড়া পাশ করাও যাবে না। যে ভাবে রাহুল সক্রিয় হচ্ছেন, তাতে স্পষ্ট, সংসদের অধিবেশন পর্যন্ত এটি জিইয়ে রাখবেন তিনি।’’

স্মৃতি ইরানি যে অনভিজ্ঞ, সে ব্যাপারে বিজেপি শিবিরের অনেকের মনে কোনও সংশয় নেই। রোহিত-মৃত্যুর আগে ও পরে স্মৃতি যে গোটা বিষয়টি ঠিকমতো সামাল দিতে পারেননি, সেটিও মানছেন তাঁরা। কিন্তু বিরোধীদের চাপের মুখে মন্ত্রিসভার রদবদলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া ঠিক হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে। বিজেপি নেতারা অবশ্য মনে করছেন, বিরোধী দলে থাকলে প্রতিবাদ করাটা সহজ। সরকারে থাকলে যেটি সম্ভব হয় না। তবে বিজেপিকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে চন্দ্রবাবু নায়ডু আজ বলেছেন, কিছু সমস্যা হলে পদক্ষেপ করা দরকার। কিন্তু সব বিষয়ে রাজনীতি করাটা ঠিক নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE