দিল্লিতে অনশনে মন্ত্রী অতিশী। — ফাইল চিত্র।
অনশনের চার দিনের মাথাতেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হতে পারে দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ আদমি পার্টি (আপ)-র নেত্রী অতিশীকে। চিকিৎসকেরা সোমবার অতিশীকে অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করানোর সুপারিশ করেছেন। যদিও হরিয়ানার বিজেপি সরকার দিল্লিকে প্রয়োজনীয় জল না ছাড়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যেতে অতিশী বদ্ধপরিকর। সোমবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, প্রতিমা মণ্ডল এবং সাগরিকা অনশনরত অতিশীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দিল্লির জলসঙ্কট সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়ে শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছেন মন্ত্রী অতিশী। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন শাসকদল আপের একাধিক নেতা-নেত্রী। অতিশীর এই সিদ্ধান্তকে ‘স্বাগত’ জানালেন জেলবন্দি অরবিন্দ কেজরীওয়াল। জেল থেকে দেওয়া এক বার্তায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার বলেন, ‘‘তৃষ্ণার্তকে জল দেওয়া আমাদের সংস্কৃতি। এই নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’’
প্রবল গরমের কারণে দিল্লিতে তীব্র জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি শাসিত প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানার থেকে বাড়তি জল চেয়েছিল দিল্লি সরকার। মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টেও। তার মধ্যেই অতিশী দিল্লির জলসঙ্কট মেটানোর দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লেখেন। সেই চিঠিতে তিনি জানান, যদি ২১ জুনের মধ্যে দিল্লির জলসঙ্কট না মেটে তবে তিনি অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসবেন। দাবি না মেটায় ‘জল সত্যাগ্রহ’ শুরু করেছেন তিনি।
অনশনের চতুর্থ দিনের মাথায় অতিশীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শরীরে ক্ষতিকারক কিটোনের মাত্রা বিপজ্জনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। তাই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো প্রয়োজন। কিন্তু তাতে রাজি নন অতিশী। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘২৮ লক্ষ দিল্লিবাসী জল না পাওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাব। বিজেপি পরিচালিত হরিয়ানা সরকার গত ৩ সপ্তাহ ধরে দিল্লিকে ১০০ এমজিডি (মিলিয়ন গ্যালন পার ডে) কম জল দিচ্ছে।’’
অতিশীর অভিযোগ, দিল্লি সাধারণত প্রতিদিন ১০০ কোটি ৫০ লক্ষ গ্যালন জল পায়। হরিয়ানা থেকে দিল্লিতে জল আসে ৬১ কোটি ৩০ লক্ষ গ্যালন। কিন্তু গত দু’সপ্তাহ ধরে হরিয়ানা সরকার সেই পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। তারা এখন ৫১ কোটি ৩০ লক্ষ গ্যালন জল ছাড়ছে। যার ফলে প্রায় ২৮ লক্ষ মানুষ জলসঙ্কটের সম্মুখীন হচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy