Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Myanmar Rebels

চিনের মদতে যুদ্ধবিরতি সমঝোতা ভেঙে হামলা চালাচ্ছে মায়ানমার সেনা, অভিযোগ বিদ্রোহী জোটের

বিদ্রোহীদের অগ্রগতি রুখতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নীতি নিয়েছে মায়ানমারের সেনা জুন্টা। সে দেশের ‘সক্ষম’ নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে চলতি বছরের গোড়়াতেই জারি হয়েছে সরকারি নির্দেশিকা।

মায়ানমারে সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্যে ঘরছাড়া হচ্ছেন বহু মানুষ।

মায়ানমারে সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্যে ঘরছাড়া হচ্ছেন বহু মানুষ। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ০১:০২
Share: Save:

চিনের মদতে যুদ্ধবিরতি সমঝোতা ভেঙে অসামরিক এলাকায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল সামরিক জুন্টা সরকারের সেনার বিরুদ্ধে। সে দেশের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলির যৌথমঞ্চ ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের অন্যতম শরিক আরাকান আর্মি (এএ) এই অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, আকাশপথে নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে অসমারিক অঞ্চলে।

ঘটনাচক্রে, চিনের মধ্যস্থতাতেই জানুয়ারির শেষপর্বে বিদ্রোহী জোট এবং জুন্টা ফৌজের যুদ্ধবিরতি সমঝোতা হয়েছিল। সেই সমঝোতা অনুযায়ী পশ্চিম মায়ানমারের জনজাতি অধ্যুষিত শান প্রদেশটি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সের হাতে তুলে দিতে সম্মত হয়েছিল মায়ানমার সেনা। কিন্তু পরে পশ্চিম মায়ানমারের আর এক প্রদেশ রাখাইনে দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলতে থাকে। আরাকান আর্মির অভিযোগ, জুন্টা সেনা নতুন করে হামলা শুরু করেছে চিন সীমান্ত ঘেঁষা শান প্রদেশে। সেখানকার জনজাতি বাসিন্দাদের খাদ্য এবং অত্যাবশকীয় পণ্য সরবরাহেও বাধা দেওয়া হচ্ছে!

প্রসঙ্গত, মায়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ ২০২৩ সালের নভেম্বরের গোড়া থেকে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিল। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭’।

পরবর্তী সময়ে জুন্টা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হয়, ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং ‘চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স’ (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ)-এর মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিও। জুন্টা বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। মায়ানমারের গণতন্ত্রকামী নেত্রী সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ)-ও বিদ্রোহী শিবিরে যোগ দিয়েছে। বিদ্রোহীদের হামলার জেরে ইতিমধ্যেই সে দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকা জুন্টা সেনার হাতছাড়া হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Myanmar Myanmar Violence Myanmar Coup Myanmar Army China
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy