—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সেতুর কাজ করতে করতে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তিন জন। দু’জনকে উদ্ধার করা গেলেও একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার ম্যানেজার বন্দি রয়েছেন মাওবাদীদের হাতে। তাঁকে উদ্ধার করতে অভিযানে নামল বিহারের পুলিশ। এর মধ্যে মাওবাদীর তরফে মুক্তিপণ হাঁকানো হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
বিহারের গয়ায় একটি সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। সেখান থেকে দুই শ্রমিক এবং নির্মাণ সংস্থার ম্যানেজার শাহবাজ খানকে অপহরণ করেন মাওবাদীরা। খবর যায় পুলিশে। এর মধ্যে জানা যায়, তিন জনকে গয়া এবং ঔরঙ্গাবাদ জেলার সীমানায় একটি জঙ্গলের গভীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তড়িঘড়ি গয়ার পুলিশ সুপার একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেন। পাশাপাশি সিআরপিএফের কমান্ডো ইউনিট কোবরাও অভিযানে নামে। সেই অভিযান এখনও চলছে। এর মধ্যে জঙ্গল থেকে দুই শ্রমিককে খুঁজে পাওয়া যায়। বস্তুত, সোমবার তাঁদের মাধ্যমেই একটি বার্তা পায় প্রশাসন। তাতে বলা হয়েছে, মাওবাদীদের হাতে বন্দি রয়েছেন শাহবাজ। ৩০ লক্ষ টাকা দিলে তবেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে।
বিহার প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অপহরণের নেপথ্যে রয়েছেন মাও নেতা বিবেক যাদব। গত বছরই যাদব ওই অঞ্চলের মাও নেতৃত্বের ভার নিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমকে লুতুয়া থানার ইনস্পেক্টর সর্ব নারায়ণ জানান, নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের কাজ চলাকালীন রবিবার কয়েক জন মাওবাদী সেখানে উপস্তিত হয়েছিলেন। রাত তখন প্রায় ৮টা। কাজ শেষ করে একটি জায়গায় রান্না করছিলেন শ্রমিকরা। ওই সময় বেসরকারি সংস্থার ম্যানেজার সহ-তিন জনকে অপহরণ করেন মাওবাদীরা। সোমবার সকালে দু’জন ছেড়েও দেওয়া হয়। তাঁদের মাধ্যমে মুক্তিপণের বার্তা দেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি সংস্থাটির মালিক শৈলেশ সিংহ। তাঁর কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা চেয়েছেন মাওবাদীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, মাও নেতা বিবেক ওরফে রাজেন্দ্র যাদব ওরফে সুনীলের আদি বাড়ি গয়া জেলায়। বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে ২০টিরও বেশি মাওবাদী হানায় নাম রয়েছে তাঁর। ঝাড়খণ্ড এবং বিহার সরকারের তরফে ওই মাও নেতার মাথার দাম ঘোষণা হয় যথাক্রমে ২৫ লাখ এবং ৩ লক্ষ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy