রবিবার ভেঙে ফেলা হবে এই বহুতল। ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে নয়ডার গগনচুম্বী যমজ অট্টালিকা (টুইন টাওয়ার)। ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরকের সাহায্যে ভেঙে ফেলা হবে কুতুব মিনারের থেকেও উঁচু এই বাড়ি। রবিবার দেশের এই উঁচু বাড়ি ভাঙার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে।
যমজ অট্টালিকা সংলগ্ন এলাকার বহু বাসিন্দাই এই ফুরসতে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। কেউ কেউ সুরক্ষার কথা ভেবে বাড়ি ছেড়ে হোটেলে থাকার বন্দোবস্ত করেছেন। উঁচু বাড়ির কয়েক মিটার দূরত্বের মধ্যেই থাকেন গৌরব সাক্সেনা। বাড়ি ভাঙার জেরে ধুলোয় ভরে যাবে এলাকা। এর জেরে তাঁর শারীরিক সমস্যা হতে পারে। সে কারণে পরিবারকে নিয়ে তিন দিনের জন্য নৈনিতাল যাচ্ছেন সাক্সেনা।
তাঁর কথায়, ‘‘আমরা বেড়াতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার মায়ের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে। ফলে ওকে বাড়িতে রাখার ঝুঁকি নেব না। তাই নৈনিতাল বেড়াতে যাচ্ছি।’’ ‘টুইন টাওয়ার’ ভাঙা ঘিরে নিকটবর্তী বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কও তৈরি হয়েছে। রাজেশ রানা নামে এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘বাসিন্দারা স্বভাবতই আতঙ্কিত। তবে আমরা খুশি। বহু দিনের লড়াইয়ের পর ভাঙা হচ্ছে এই বাড়ি।’’ প্রসঙ্গত, বেআইনি নির্মাণেক অভিযোগে এই বহুতল ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গগনচুম্বী অট্টালিকা ভাঙার জন্য পাঁচ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে রবিবার সকাল সাতটা থেকে নিরাপদ স্থানে সরানো হবে। তাঁদের প্রায় ২ হাজার ৭০০টি গাড়িও অন্যত্র সরানোর কাজ শুরু করা হবে। সেই সঙ্গে সরানো হবে ওই বাসিন্দাদের প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার ২০০ পোষ্যকেও।
প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের সময় আশপাশের বাড়ির দরজা-জানলা বন্ধ রাখতে হবে। যদি বৃষ্টি বা ঝোড়ো হাওয়া না থাকে, তা হলে আশপাশের বাড়ির মধ্যে ঢুকতে পারে ধুলো। বাড়ির মধ্যে ধুলো ঢুকলে তা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
রবিবার দুপুরে তাসের ঘরের মতো ভেঙে ফেলা হবে এই যমজ বহুতল। এই জোড়া বহুতলের একটির নাম অ্যাপেক্স। উচ্চতা ১০০ মিটার। অন্যটির নাম সিয়ানে। তার উচ্চতা ৯৭ মিটার। এই যমজ টাওয়ার কুতুব মিনারের চেয়েও উঁচু। বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ব্যবহার করে এই দুই বহুতল ভাঙা হবে বলে জানা গিয়েছে। নয়ডার সেক্টর ৯৩এ-তে এখন জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy