Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

শিনার মুখে চেপে বসেছিল ইন্দ্রাণী, দাবি চালকের

শিনা মারা গিয়েছে, নিশ্চিত হওয়ার পরে তাঁর ঠোটে লিপস্টিক লাগিয়ে দেয় সে। এর পর পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেয় দেহটি। শিনা বরা হত্যাকাণ্ড নিয়ে আজ মুম্বই হাইকোর্টে ফের একপ্রস্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যামবর রাই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৭ ০২:৫৪
Share: Save:

দু’হাত পিছমোড়া করে বেঁধে মেয়ের মুখের উপর চেপে বসেছিল ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। ‘‘ফ্ল্যাট চেয়েছিলি না? এই নে তোর তিন বেডরুমের ফ্ল্যাট’’, বলে ওঠে মা। শিনা মারা গিয়েছে, নিশ্চিত হওয়ার পরে তাঁর ঠোটে লিপস্টিক লাগিয়ে দেয় সে। এর পর পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেয় দেহটি। শিনা বরা হত্যাকাণ্ড নিয়ে আজ মুম্বই হাইকোর্টে ফের একপ্রস্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যামবর রাই।

২০১২-য় প্রথম পক্ষের মেয়ে শিনা বরাকে খুনের অভিযোগে ২০১৫ থেকে জেলে ইন্দ্রাণী ও তার তৃতীয় স্বামী মিডিয়া ব্যারন পিটার মুখোপাধ্যায়। ঘটনার তিন বছর বাদে ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালককে গ্রেফতারের পরই প্রকাশ্যে আসে এই হত্যাকাণ্ডের কথা। শ্যামবরের দাবি, খুনের কথা জানাজানি হলে তাকেও মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল ইন্দ্রাণী। যদিও পরে সে-ই মুম্বইয়ের কাছে জঙ্গলে পুঁতে রাখা শিনার দেহাবশেষের সন্ধান দেয় পুলিশকে।

মুম্বই হাইকোর্টে আজ ওই চালক জানায়, শিনাকে মারার পর ব্যাগ থেকে একটি শাড়ি ও একজোড়া দস্তানা বার করে ইন্দ্রাণী। সেগুলি শিনার মৃতদেহের উপরে রেখে পেট্রোল ঢেলে দেয় সে। এর পর পকেট থেকে দেশলাই বার করে জ্বালিয়ে দেয় দেহটি।

ঘটনাচক্রে, এ দিনই বাইকুল্লা জেলের কয়েদি মঞ্জু গোবিন্দ শেট্টের খুনের ঘটনায় ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী রণজিৎ পাটিল। ওই বন্দির মৃত্যু নিয়ে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার জন্য জেজে হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন ওই মন্ত্রী।

আরও পড়ুন:বিশ্ববিদ্যালয় স্তরেও চালু হচ্ছে কন্যাশ্রী

গত ২৩ জুন বাইকুল্লা জেলে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মঞ্জু গোবিন্দ শেট্টের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জেলের পরিস্থিতি। অভিযোগ, জেলকর্মীদের মারেই মৃত্যু হয় মঞ্জুর। তার মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই খেপে গিয়ে হাঙ্গামা শুরু করে বাকি বন্দিরা। জেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জেলে ভাঙচুর চালায় প্রায় দু’শো বন্দি।

বন্দি মৃত্যুর ঘটনায় পরে জেলের ছয় কর্মীকে সাসপেন্ড করে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। যদিও ওই ছ’জন জামিনের আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘‘জেলকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতেই তাঁদের ভুয়ো অভিযোগে ফাঁসিয়েছেন ইন্দ্রাণী।’’ যদিও ইন্দ্রাণী পাল্টা দাবি করে, এই ঘটনায় সে সাক্ষ্য দিতে চাইলে তাকে নিগ্রহের হুমকি দেওয়া হয়। ইন্দ্রাণীর আইনজীবীও সিবিআই আদালতে দাবি করেন, শেট্টের মৃত্যুর পর শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয় ইন্দ্রাণীকে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy