রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।
পিছনে লোহার সিন্দুক বা ‘সেফ’। তার ভিতর থেকে বার হল দু’টি পোস্টার। একটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও শিল্পপতি গৌতম আদানির ছবি। অন্যটিতে মুম্বইয়ের ধারাভির মানচিত্র। এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি বলে পরিচিত যে ধারাভি পুনরুন্নয়নের জন্য আদানি গোষ্ঠী বরাত পেয়েছে। আজ মুম্বইয়ে এই সিন্দুক দেখিয়ে রাহুল গান্ধী বললেন, নরেন্দ্র মোদী মহারাষ্ট্রে প্রচারে ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ বলে স্লোগান তুলেছিলেন। এটাই তার মর্মার্থ। মোদী ও আদানি একসঙ্গে থাকলেই তাঁরা নিরাপদ বা ‘সেফ’। মোদী আসলে আদানির ‘সেফ’ বা সিন্দুক ভরতে ব্যস্ত। তাই মুম্বইয়ের বিমানবন্দরের পরে এ বার ধারাভির জমিও তিনি আদানির হাতে তুলে দিতে চান। তা থেকে আদানির ১ লক্ষ কোটি টাকা আয় হবে।
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ২০ নভেম্বর ভোট। ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণও ওই দিন। আজ প্রচারের শেষ দিনে রাহুল গান্ধী মুম্বই ও রাঁচীতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। মুম্বইয়ে রাহুলের অভিযোগ, কংগ্রেস তথা মহা বিকাশ আঘাড়ী জোট মহিলা, বেকার, কৃষক, দলিত, ওবিসি-র জন্য কাজ করতে চাইছে। বিজেপি দু’এক জন শিল্পপতির কথা ভাবছে।
যোগী আদিত্যনাথ মহারাষ্ট্রের হিন্দু ভোটকে এককাট্টা করতে ‘বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ স্লোগান দেওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদী একই সুরে ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’ বলে স্লোগান দিয়েছিলেন। আজ রাহুল তার অন্য অর্থ বের করায় বিজেপি গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে দেশের ‘তিজোরি’ বা সিন্দুক চুরি
করার অভিযোগ তুলেছে। বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের কটাক্ষ, বালাসাহেব ঠাকরে রাহুলকে ‘পোপট’ বলতেন।
উল্টো দিকে রাহুল বলেছেন, বেদান্ত-ফক্সকনের সেমিকন্ডাক্টর কারখানা থেকে টাটার এয়ারবাস-সহ ৭ লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প মহারাষ্ট্র থেকে গুজরাতে সরানো হয়েছে। পাঁচ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হত। রাঁচীতে গিয়ে রাহুল জাতগণনার পক্ষে সওয়াল করেছেন। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy