How Borosil went from 12 years of losses to a famous brand dgtl
Borosil
Borosil: টানা ১২ বছর ক্ষতি, ধাক্কা সামলে দেশের অন্যতম বৃহৎ কাচের সামগ্রী উৎপাদনকারী সংস্থা!
দেশের বাইরে আমেরিকা এবং নেদারল্যান্ডসেও যথেষ্ট পসার জমিয়ে ফেলেছে এই ভারতীয় সংস্থা।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২১ ০৯:৫৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৪
দেশের অন্যতম বৃহৎ কাচের সামগ্রী উৎপাদনকারী সংস্থা বোরোসিল। দেশের বাইরে আমেরিকা এবং নেদারল্যান্ডসেও যথেষ্ট পসার জমিয়ে ফেলেছে এই ভারতীয় সংস্থা। জানেন কি এই সংস্থার সঙ্গে কলকাতারও যোগসূত্র ছিল?
০২১৪
কোটি কোটি টাকার ব্যবসা গড়ে তোলা, ১৫০০-র বেশি লোকের রুটি-রোজগারের দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে চলা এই সংস্থা একের পর এক ক্ষতির ধাক্কায় এক সময় মাথা তুলে দাঁড়াতেই পারছিল না! টানা ১২ বছর ধরে বিপুল ক্ষতি সহ্য করতে হয়েছে বোরোসিলকে।
০৩১৪
বহু আগে কলকাতায় পাটের সামগ্রীর ব্যবসা ছিল খেরুকা পরিবারের। পরিশ্রম করে এই ব্যবসা দাঁড় করিয়েছিল খেরুকা পরিবার। পরবর্তীকালে সেই ব্যবসা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
০৪১৪
তারপরই কাচের সামগ্রী উৎপাদনকারী সংস্থা বোরোসিল স্থাপন করেন তারা। ১৯৬২ সালে মুম্বইয়ে বোরোসিল সংস্থা স্থাপন করে খেরুকা পরিবার। আমেরিকার কর্নিং গ্লাস ওয়ার্কস-এর সঙ্গে যৌথভাবে এই সংস্থা চালু হয়েছিল।
০৫১৪
প্রথম প্রথম বিভিন্ন শিল্পের কাজে ব্যবহৃত এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারে কাজে লাগে এমন কাচের সামগ্রী উৎপাদন করত এই সংস্থা। কিন্তু সেটা একেবারেই লাভজনক হচ্ছিল না। টানা ১২ বছর শুধু ক্ষতির মুখই দেখে যাচ্ছিল খেরুকা পরিবার।
০৬১৪
এমন অবস্থায় ১৯৮৮ সালে আমেরিকার কর্নিং গ্লাস ওয়ার্কস-এর সমস্ত শেয়ার কিনে নেয় বোরোসিল। ১৮ বছর বয়সে এই ব্যবসার হাল ধরেন প্রদীপ খেরুকা।
০৭১৪
এরপর থেকে ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেন প্রদীপই। পরবর্তীকালে বোরোসিলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসাবে যোগ দেন প্রদীপের ছেলে শ্রীবর।
০৮১৪
শ্রীবর তখন পেনসিলভ্যানিয়ায়। পড়াশোনা শেষ করে সেখানেই একটি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। বাড়ি থেকে বাবা ফোন করে তাঁকে দেশে ফিরে পারিবারিক ব্যবসার হাল ধরতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
০৯১৪
২০০৬ সালে দেশে ফিরে বোরোসিলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হন তিনি। শ্রীবরের আমলেই গ্রাহকদের সমস্যা শুনতে তাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে যেতে শুরু করেছিল বোরোসিল।
১০১৪
ধীরে ধীরে বোরোসিল জনপ্রিয়তা পায় দেশে। রান্নাঘরের কাচের সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম পছন্দের সংস্থা হয়ে ওঠে বোরোসিল। বোরোসিলের দু’টি সংস্থা এখন রয়েছে। বোরোসিল লিমিটেড এবং বোরোসিল রিনিউয়েবল লিমিটেড।
১১১৪
২০২০ সালে ৬০০ কোটির টাকার ব্যবসা করেছে বোরোসিল লিমিটেড। ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বোরোসিল রিনিউয়েবল লিমিটেড। দু’টি সংস্থা মিলিয়ে মোট কর্মচারী দেড় হাজার জন।
১২১৪
অতিমারি পরিস্থিতিতে বহু সংস্থাই যেখানে কর্মীদের মাথার উপর থেকে হাত সরিয়ে নিয়েছে, সেখানে অভিনব পদক্ষেপ করে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে বোরোসিল।
১৩১৪
বোরোসিল বিবৃতি জারি করে জানিয়ে দেয়, ‘কোভিডে আক্রান্ত হয়ে কোনও কর্মীর যদি মৃত্যু হয়, তা হলে তিনি যা বেতন পেতেন, পরবর্তী দু’বছর তাঁর পরিবারের হাতে মাসে মাসে ওই বেতন তুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়াও স্নাতকস্তর পর্যন্ত ওই কর্মীর ছেলেমেয়ের পড়ানোর খরচ বহন করবে সংস্থা’।
১৪১৪
শুধুমাত্র বোরোসিল লিমিটেড নয়, বোরোসিল রিনিউয়েবল লিমিটেড এবং তাদের ভর্তুকিপ্রাপ্ত সমস্ত সংস্থার কর্মীই এই সুবিধা পাবেন।