কেদারনাথে ধস। ছবি: এক্স।
কেরলের ওয়েনাড়, হিমাচল প্রদেশের পর এ বার ধসে বিপর্যস্ত দেবভূমি উত্তরাখণ্ড। একের পর এক ধস নেমেছে কেদারনাথ, চামোলি, টিহরীতে। গত কয়েক দিন ধরেই উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি চলছে। বুধবার সেই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ে। আচমকাই মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং তার জেরে কেদারনাথে ধস নামে বুধবার। কেদারনাথ যাওয়ার রাস্তার বেশ কিছু জায়গায় ধস নামার কারণে পুণ্যার্থীরা আটকে পড়েছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর।
মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে আচমকাই ধস নামায় কেদারনাথে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, হরিদ্বারে ধসের জেরে বাড়ি ভেঙে পড়ে একই পরিবারের ছ’জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এই সময়ে চারধাম যাত্রা চলছে। দুর্যোগ শুরু হওয়ায় পুণ্যার্থীদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। জানা গিয়েছে, কেদারনাথের বিভিন্ন জায়গায় ১৫০-২০০ পুণ্যার্থী আটকে রয়েছেন। যাঁরা ইতিমধ্যেই কেদারনাথের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন, তাঁদের আপাতত এই যাত্রা স্থগিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কেদারনাথ যাওয়ার পথে বুধবার সন্ধ্যায় ভীম বলীতে বড় ধস নামে। সেই সময় অনেক পুণ্যার্থীই ওই রাস্তা ধরে কেদারনাথের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তাঁরা। নিরাপত্তার কারণে কেদারনাথ যাওয়ার ওই রাস্তা আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিশের তরফে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করে ধসপ্রবণ এলাকাগুলি থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ধস নামায় টিহরীতে একটি পরিবারের বেশ কয়েক জন সদস্য নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
অন্য দিকে, হরিদ্বারে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বহু গাড়ি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। চামোলিতে এক মহিলা এবং শিশু নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভারী বৃষ্টির জেরে গঙ্গা এবং মন্দাকিনীর জলস্তর বেড়েছে। কোনও কোনও জায়গায় বসতি এলাকাতেও ঢুকে পড়েছে গঙ্গার জল। আলমোড়াতে একটি সেতু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। তিনি বুধবারই উদ্ধারকারী দলগুলির সঙ্গে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃষ্টি আর ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পিথোরাগড়-তাওয়াঘাট জাতীয় সড়ক। এ ছাড়াও ধসের কারণে বন্ধ রুদ্রপ্রয়াগ, বাদেশ্বর, চম্পাবত এবং টিহরী জেলার বহু রাস্তা।
হিমাচলেও ভারী বৃষ্টির জেরে বহু জায়গায় ধস নেমেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে মান্ডির থালতুখড় এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে অন্তত ৯ জন নিখোঁজ বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। মৃত্যু হয়েছে এক জনের। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এক জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন মান্ডির ডেপুটি কমিশনার অপূর্ব দেবগন। শিমলা জেলার রামপুরের কাছে সামেজখড় এলাকাতেও মেঘভাঙা বৃষ্টিতে নিখোঁজ অন্তত ১৯ জন। তাঁদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ভোরে কেরলের ওয়েনাড়ে ধস নামে। সেই ধসে ওই জেলার চারটি গ্রাম পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। এই বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত ২৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ প্রায় ২০০ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy