চিকিত্সার খরচ আকাশ ছুঁয়েছে। অস্ত্রোপচারের কথা শুনলে চিন্তায় পড়ে যান মধ্যবিত্তরা। বাইপাস সার্জারি, ওপেন হার্ট সার্জারি বা হার্টে স্টেন্ট বসানোর খরচ বেড়েই চলেছে। কিন্তু কেন এত খরচের বহর এই সব জরুরি অস্ত্রোপচারে? সোমবার ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ)-র প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, অস্বাভাবিক মুনাফা লোটার কারণেই এমন নাভিশ্বাস ওঠে রোগীর পরিবারের। যেমন হার্টের স্টেন্ট। প্রস্তুতকারক সংস্থা থেকে বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউটর, হাসপাতালের হাত ঘুরে স্টেন্ট যখন রোগীর পরিবারের হাতে এসে পৌঁছয়, তখন মূল্য বেড়ে যাচ্ছে ১০ গুণ পর্যন্ত। এনপিপিএ নির্দিষ্ট ভাবে জানাচ্ছে কমপক্ষে ২৭০% থেকে শুরু করে কখনও কখনও ১০০০% পর্যন্ত লাভে বেচা হয় স্টেন্ট।
কারা পায় এই লাভের ভাগ? স্টেন্ট প্রস্তুতকারক সংস্থা বা ডিলাররা তো আছেই, বহু ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি লাভের গুড় খেয়ে যাচ্ছে হাসপাতালগুলো। এনপিপিএ-র হিসেবে, অনেক সময় সাধারণ মানুষের ‘গলা কেটে’ তোলা অস্বাভাবিক লাভের দশ ভাগের সাড়ে ছয় ভাগ পর্যন্ত যায় বেসরকারি হাসপাতালের পকেটে। সব হাসপাতালের ক্ষেত্রে অবশ্য এটা সত্যি নয়। হাসপাতালগুলোর লাভের মাত্রাতেও প্রচুর তারতম্য আছে। ১১% থেকে ৬৫৪%। ঘটনাচক্রে স্টেন্টের মূল্য নিয়ন্ত্রণের বিপক্ষে, স্টেন্ট কোমেপানিগুলো ছাড়া সবতেকে বেশি আওয়াজ তুলেছে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং বহু কার্ডিওলডিস্ট।
দেশি সংস্থাগুলোতে ড্রাগ ইলিউটিং স্টেন্ট বা ডিইএস তৈরিতে খরচ হয় ৮,০০০ টাকার মতো। আমদানি করা ডিইএসের খরচ শুরু ৫,০০০ টাকা থেকে। ভারতে ৯৫% ক্ষেত্রে এই ধরনের স্টেন্টই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তথ্য অনুযায়ী প্রস্তুতকারক বা আমদানিকারক সংস্থা দাম যতটা সম্ভব কম রাখার চেষ্টা করলেও অনেক সংস্থাই ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে কাজ করে। আর ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটরদের হাত পড়লেই দাম বেড়ে যেতে পারে ১৩ থেকে ১৯৬% পর্যন্ত।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাসপাতালের বিলে স্টেন্টের দাম স্বচ্ছ ভাবে দেখানো হয় না। ফলে আকাশ ছোঁয়া মূল্যের বিল নিয়ে আরও বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় রোগীদের।
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা মহিলার রক্তচাপই বলে দেবে সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy