প্রাসাদের মতো এই ভবনের অন্দরমহল আপনাকে তাক লাগিয়ে দেবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৩:৩১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
পেল্লায় প্রাসাদ। সোমবারই দিল্লির আকবর রোডে ঠিক কংগ্রেসের নাকের ডগায় এই গুজরাত ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে ভারতীয় এবং পশ্চিমি সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটেছে এই ভবনে। প্রাসাদের মতো এই ভবনের অন্দরমহল আপনাকে তাক লাগিয়ে দেবে।
০২১০
সাত হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে এই ভবন বানাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা। ধোলপুর আর আগরা থেকে বিশেষ পাথর আনা হয়েছে এর জন্য। ঠিক যেন কোনও সেভেন স্টার হোটেল।
০৩১০
এই ভবনে ১৯টি বিশেষ সুইট, ৫৯টি রুম, একটা রেস্তরাঁ, একটা পাবলিক ডাইনিং হল, একটা বিজনেস সেন্টার, স্মারক দোকান, বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় হল, যোগব্যায়ামের ঘর, চারটে লাউঞ্জ, একটা জিমনাসিয়াম, ছাদ বাগান এবং একটা বিশালাকার লাইব্রেরিও রয়েছে এই ভবনে।
০৪১০
মূল ভবন, অ্যানেক্স ভবন এবং নতুন অ্যানেক্স ভবন রয়েছে। সাধারণত গুজরাতের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি এবং গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতিরা, সাংসদ, বিধায়করা দিল্লি এলে এই ভবনে থাকতে পারেন। সাধারণ মানুষও পারেন। তবে বুকিং পাওয়াটা বেশ চাপের।
০৫১০
ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার তিনটেই সুলভে পাওয়া যায় এই ভবনে। ব্রেকফাস্টে গুজরাতির পাশাপাশি, উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের খাবার এবং কন্টিনেন্টাল খাবারও মিলবে।
০৬১০
ব্রেকফাস্টে যা যা পাওয়া হয় সেগুলোর কয়েকটা হল, ফাফড়া, মেথি গোটা, কারির সঙ্গে পরিবেশন করা ডাল বড়া, জিলিপি, চা বা কফি, কলা বা অন্য যে কোনও একটা ফল। থালা ভর্তি এই গুজরাতি ব্রেকফাস্ট মিলবে মাত্র ৬৫ টাকায়।
০৭১০
৬৫ টাকায় কন্টিনেন্টাল ব্রেকফাস্টের মধ্যে রয়েছে কমলালেবু, আনারস বা আমের জুস, মাখন-পাউরুটি, ভেজিটেবল কাটলেট, চা বা কফি, একটা যে কোনও ফল। আর উত্তর বা দক্ষিণ ভারতীয় ব্রেকফাস্টে পাওয়া যায় পরোটা বা পুরী, চা বা কফি আর ফল। এই একথালা ব্রেকফাস্টও মিলবে মাত্র ৬৫ টাকায়।
ডিনারেও রেগুলার (১২০ টাকা), স্পেশাল (১৫৫ টাকা) এবং মিনি প্যাক (৭৫ টাকা) রয়েছে। এছাড়া আলাদা করে কেউ চাইলে নিজের পছন্দ মতো খাবার খুব সস্তায় কিনে খেতে পারেন।
১০১০
এত দিন বিশাল পর্দা দিয়ে ঢাকা ছিল এই ভবন। ভিতরে প্রবেশেরও অনুমতি ছিল না। ভোটে নরেন্দ্র মোদী বিপুল জনমত নিয়ে জিতে আসার পরই সেই পর্দা সরিয়ে দেওয়া হয়। এটাকে অবশ্য বিজেপির ক্ষমতার আস্ফালন আর শক্তি প্রদর্শনের বার্তা হিসেবেই দেখছে কংগ্রেস।