ফাইল চিত্র।
সাত বছরের ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের খুনের ঘটনায় গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দুই শীর্ষকর্তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে এতেও অভিভাবকদের ক্ষোভ কমেনি। বরং দিল্লিতে রায়ান ইন্টারন্যাশনালের অন্যান্য শাখাতেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
শুক্রবার সকালে স্কুলের শৌচালয়ে ক্লাস টু’র ছাত্র প্রদ্যুন্মের নলিকাটা দেহ উদ্ধার হয়। তার পর থেকেই অভিভাবকদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবারই এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় স্কুলবাসের খালাসি অশোক কুমারকে। অশোক অপরাধ স্বীকার করেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু প্রদ্যুন্মের পরিবারের সন্দেহ, এই ঘটনার পিছনে আরও বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। অন্য কাউকে বাঁচাতে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে বাসের খালাসিকে। দাবি নিহত প্রদ্যুম্নের বাবার। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে অভিভাবকদের বিক্ষোভ রবিবার চরম আকার নেয়। সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন: টিকিট কাটেনি পায়রা, জরিমানা করা হল কন্ডাক্টরের
স্কুলের পাশে একটি মদের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত প্রবল চাপের মুখে পড়ে রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের রিজওনাল হেড ফ্রান্সিস থমাস এবং জনসংযোগ দফতরের প্রধান জিউস থমাসকে। তাঁদের সোহনা আদালতে পেশ করা হয়।
অন্য দিকে ছাত্র খুনের ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে, তদন্তের ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হরিয়ানার শিক্ষামন্ত্রী। তদন্তের বিষয়ে রাজ্য আশ্বাস দিলেও, অভিভাবকদের উপর লাঠিচার্জের ঘটনার নিন্দা করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy