Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

জিগ্নেশকে জেতাতে জোট বিরোধীদের

কংগ্রেস এ বার গুজরাতের যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে রাজ্যের ‘ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি’-কে সব মিলিয়ে পাঁচটি আসন ছাড়া হয়েছে। সংযুক্ত জনতা দলের প্রাক্তন নেতা ও বিধায়ক ছোটুভাই ভাবাসা কিছু দিন আগেই এই দলটি গঠন করেন।

জিগ্নেশ মেবাণী। ফাইল চিত্র।

জিগ্নেশ মেবাণী। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
অমদাবাদ শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৮
Share: Save:

গুজরাতের ভোটে দলিত নেতা জিগ্নেশ মেবাণীকে সামনে রেখে এককাট্টা হল বিজেপি বিরোধী শিবির। উনায় দলিত নিগ্রহের পরে বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন এই যুব নেতা। তাই এ বার বনসকণ্ঠা জেলার বডগাম-এ জিগ্নেশ নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিতেই বিজেপিকে হারাতে তাঁকে সমর্থন দিয়েছে কংগ্রেস ও আপের মতো দলগুলি। এ দিন কংগ্রেস ও বিজেপি তাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেল বিজেপির তালিকায় জায়গা পাননি। বাদ পড়েছেন এক জন মন্ত্রী, জনাকয়েক বিধায়কও।

কংগ্রেস এ বার গুজরাতের যে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে রাজ্যের ‘ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি’-কে সব মিলিয়ে পাঁচটি আসন ছাড়া হয়েছে। সংযুক্ত জনতা দলের প্রাক্তন নেতা ও বিধায়ক ছোটুভাই ভাবাসা কিছু দিন আগেই এই দলটি গঠন করেন। জনতা দলে ভাঙনের পরেই ভারুচ জেলার এই আদিবাসী নেতা বিজেপিকে বেগ দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। গুজরাতে জাতপাতের রাজনীতিকে সামনে রেখে যাঁরা এখন সামনে উঠে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে ওবিসি নেতা অল্পেশ ঠাকোর ইতিমধ্যেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, পাতিদারদের নেতা হার্দিক পটেল কংগ্রেসকে সমর্থন করছেন। আর দলিত নেতা জিগ্নেশ নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিজেপিকে হারানোর জন্য সব বিরোধী দলের কাছে আহ্বান জানিয়ে সাড়াও পেয়েছেন।

ভোটের লড়াইয়ে নিজস্ব সংগঠনের পাশাপাশি এই যুব নেতাদের উপর ভরসা করে এগোতে চাইছেন রাহুল গাঁধী। বিরোধীদের রণনীতি ঠিক করতে গিয়ে বিভিন্ন দলের সমন্বয়ও চোখে পড়ছে। রাজ্যে ৩০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে অরবিন্দ কেজরীবালের দল। তবে আপের শীর্ষ নেতা জানিয়ে দিয়েছেন, যেখানে দলের প্রার্থী নেই, সেখানে বিজেপিকে যে হারাতে পারবে, তাঁকেই সমর্থন দেবে আপ। জিগ্নেশের প্রার্থী পদের ক্ষেত্রেও আজ এমনটাই ঘটেছে। বডগাম কংগ্রেসের জেতা আসন। সেখানকার বিদায়ী বিধায়ক মণিভাই বাঘেলা আজ সাংবাদিকদের জানান,
প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব এ বার ওই আসনে তাঁকে লড়াই না করার জন্য বলেছেন। কারণ জিগ্নেশ সেখানে প্রার্থী হচ্ছেন। কংগ্রেস ওই দলিত নেতাকে পুরোপুরি ভাবে সমর্থন করবে। জিগ্নেশ নিজেও বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ের জন্য সব দলের কাছে সমর্থনের আর্জি জানিয়েছেন। এর পরে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল টুইটারে মেবাণীকে শুভেচ্ছা জানান। বিবৃতি দিয়ে আপ বলেছে, ‘‘বিজেপির সঙ্গে জিগ্নেশের সরাসরি লড়াই হওয়া উচিত। তাই আমরা ওই আসনে প্রার্থী দিচ্ছি না।’’

এই ধরনের ঐক্যের ছবি অবশ্য দেখা যায়নি বিজেপি শিবিরে। বিজেপির চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকেই যা স্পষ্ট। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন পটেল তালিকায় নেই। তিনি অবশ্য আগেই জানান, প্রার্থী হতে চান না।
বিজেপি শিবিরের খবর, দল জিতলেও আনন্দীবেনকে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর কোনও পরিকল্পনাই নেই নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের। তাই নিজে থেকেই দূরে সরে গিয়েছেন এই নেত্রী। এ দিন রাজ্যের মন্ত্রী ও আনন্দ-এর বিধায়ক রোহিত পটেলকে টিকিট দেওয়া হয়নি। টিকিট মেলেনি বেশ কয়েকজন বিধায়কেরও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE