Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

ট্র্যাফিক জ্যাম, গাড়ি ছেড়ে মেট্রো চড়ে বিয়ে করতে গেল বর!

সিনেমার মতো শোনালেও এমন কাণ্ড কিন্তু বাস্তবেই ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বেশ কয়েক দিন আগে কেরলে। ওই দম্পতির ভিডিও বার্তা সম্প্রতি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছে কোচি মেট্রো। সেখানে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরেই তাঁদের কাহিনি ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।

মেট্রো চড়ে গিয়েই ধান্নোকে বিয়ে করলেন রনজিত। ছবি: কোচি মেট্রোর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।

মেট্রো চড়ে গিয়েই ধান্নোকে বিয়ে করলেন রনজিত। ছবি: কোচি মেট্রোর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।

সংবাদ সংস্থা
কোচি শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৪:৪৮
Share: Save:

ট্রাফিক জ্যামে আটকে সুসজ্জিত বরের গাড়ি। ভিতরে ফিটফাট সাজে বর ও তাঁর পরিবার। কিন্তু বরের মনে শান্তি নেই। জ্যাম তো কিছুতেই ছাড়ে না। এ দিকে কনের বাড়ি পৌঁছতে পাড়ি দিতে হবে অনেকটা পথ। লগ্ন যে বয়ে যায়!

উত্তেজনার পারদ চড়ছে ক্রমশ। আর মনে হয় পৌঁছনো গেল না। বন্ধুদের মধ্যে একজন বুদ্ধি দিল, উপায় একটা আছে। আর সেটা হল মেট্রো। প্রস্তাব এক প্রকার লুফেই নিল বর। মেট্রোতেই পৌঁছে গেল কনের বাড়ি। শেষমেশ মধুরেণ সমাপয়েৎ।

সিনেমার মতো শোনালেও এমন কাণ্ড কিন্তু বাস্তবেই ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বেশ কয়েক দিন আগে কেরলে। ওই দম্পতির ভিডিও বার্তা সম্প্রতি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছে কোচি মেট্রো। সেখানে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরেই তাঁদের কাহিনি ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।

আরও পড়ুন:

ট্রেন ছুটছে সময়ের আগেই! সংসদে হাসি

অ্যাপে সাংসদ মাপছেন মোদী

কেরলের পালাক্কারের বাসিন্দা রনজিতের সঙ্গে ধান্নোর বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল গত শনিবার। ধান্নোর বাড়ি এরনাকুলামে। পালাক্কার থেকে ১৩০ কিলোমিটারের পথ। যেতে লাগে পাক্কা সাড়ে তিন ঘণ্টা। সকাল ৬টা নাগাদ নিজের বাড়ি থেকে গাড়িতে করে রওনা দেয় রনজিত ও তাঁর পরিবার। বেলা ১১টা নাগাদ তাঁরা পৌঁছন আলুভা নামে একটি জায়গায়। রনজিত জানিয়েছেন, আলুভা থেকে তাঁদের গন্তব্যস্থলের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। আলুভায় পৌঁছেই ঘটে বিপত্তি। বিশাল জ্যামের কবলে পড়ে বরের গাড়ি। রনজিতের কথায়, ‘‘সবাই নানা রকম উপায় বলতে থাকে। তবে একটি আমার মনে ধরে। আলুভাতেই রয়েছে মেট্রো স্টেশন। তাই মেট্রোতেই যাব ঠিক করি।’’

তবে তাতেও সমস্যা কিছু কম হয়নি বলেই জানিয়েছেন রনজিত। বরের বেশে একজনকে মেট্রো ধরতে দেখে চমকে উঠেছিলেন অনেকই। পাশাপাশি, সহযোগিতার জন্যও এগিয়ে এসেছিলেন কেউ কেউ। কোচি মেট্রোর ভূয়সী প্রশংসা করে রনজিত বলেছেন, ‘‘টিকিট কাউন্টারে বিশাল লাইন ছিল। কিন্তু আমার পরিস্থিতি দেখে অনুরোধ মেনে নেন কর্তৃপক্ষ। দ্রুত টিকিট কেটেই মেট্রোতে চড়ে বসি। সঠিক সময় গন্তব্যে পৌঁছে যাই।’’

রনজিত এবং ধান্নোকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছে কোচি মেট্রো। উপহার হিসেবে তাঁদের কি দিয়েছে জানেন? ‘কোচি ওয়ান’ কার্ড। এই স্মার্টকার্ড দিয়ে যখন খুশি মেট্রোয় চড়তে পারবেন দম্পতি। তাও একেবারে বিনামূল্যে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE