পাসপোর্ট বাতিল। রাজ্যসভার সদস্যপদ খারিজ হওয়ার মুখে। এ বার ফেরত চেয়ে চিঠি গেল ব্রিটেনের কাছে। বিজয় মাল্যর উপর আরও চাপ বাড়ল। তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ডেভিড ক্যামেরন সরকারকে অনুরোধ জানাল বিদেশ মন্ত্রক। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকে নেওয়া ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ ইচ্ছাকৃত ভাবে শোধ না করায় মামলা ঝুলছে মাল্যর বিরুদ্ধে। গত ২ মার্চ দেশ ছেড়েছেন তিনি। এখনও তিনি ব্রিটেনে বলেই মনে করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেন, ‘‘মাল্যর বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়েছে। সেই তদন্তে মাল্যর উপস্থিতি নিশ্চিত করতেই তাঁকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।’’ স্বরূপের বক্তব্য, মাল্যর পাসপোর্ট গত সপ্তাহেই বাতিল হয়েছে। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে। নয়াদিল্লিতে ব্রিটিশ হাইকমিশনে ইতিমধ্যেই প্রত্যর্পণের চিঠি পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ব্রিটেনে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে ব্রিটিশ বিদেশ দফতরে চিঠি পাঠানো হবে।
এত কাণ্ড করেও মাল্যকে দেশে ফেরানো যাবে কি না, তা নিয়ে অবশ্য সংশয় থেকেই যাচ্ছে। আশঙ্কা হল, মাল্যও ললিত মোদীর মতো ব্রিটেনেই রয়ে যেতে পারেন। রাজ্যসভার এথিক্স কমিটিতেও কয়েক জন সাংসদ এই শঙ্কা জানিয়েছেন। তাঁদের যুক্তি, তড়িঘড়ি মাল্যর পাসপোর্ট খারিজ করে দিয়েছে মোদী সরকার। কিন্তু মাল্য যদি অন্য কোনও দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে যান বা ব্রিটেন তাঁকে ফেরত পাঠাতে রাজি না হয়, তা হলে তিনিও ললিত মোদীর মতো বিদেশেই থেকে যাবেন।
সুপ্রিম কোর্টে মাল্যর সম্পর্কে ব্যাঙ্কগুলি একই সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তাদের যুক্তি, মাল্য তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। বিদেশে তাঁর সম্পত্তিও খোলসা করতে চাইছেন না। যার অর্থ, তিনি ঋণ শোধ করতে আগ্রহী নন। সিবিআই বা ইডি এখন মাল্যর বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগলেও এত দিন তদন্ত শ্লথ গতিতে চলছিল। ইডি কর্তারা দাবি করছেন, কিংফিশার এয়ারলাইন্সের জন্য ঋণ নিলেও মাল্য আসলে সিংহভাগ অর্থ বিদেশে পাঠিয়েছেন। কিন্তু তা প্রমাণের মতো তথ্য ইডির হাতে নেই। তাই মাল্যকে মুখোমুখি জেরা করতে চাইছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy