হাসপাতালের শয্যায় বসে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল নির্যাতিতা নাবালিকা। আর মঙ্গলবার ইসলামপুর সংশোধনাগার থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসল তাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত তরুণ।
গত ১৫ মার্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চোপড়ার কোটগছ স্কুলের ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে। চোপড়ারই আসারুবস্তিতে অভিযুক্তের বাড়ি। কিন্তু মণিগ্রাম এলাকায় এক নিকটাত্মীয়র বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত সে। সেখানেই প্রতিবেশী ছিল ওই নাবালিকা। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ওই দিন সন্ধ্যায় ছাত্রীকে বাড়িতে রেখে বাড়ির সবাই বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তখনই একা পেয়ে ওই তরুণ তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। গুরুতর অসুস্থ ওই নাবালিকাকে দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। সেখানে থেকেই মাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষাগুলি দেয় সে। ১৭ মার্চ ওই নাবালিকার পরিবার ওই তরুণের বিরুদ্ধে চোপড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ২০ মার্চ গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। পকসো আইনে মামলা রুজু হয় তার বিরুদ্ধে। তার পর থেকে ইসলামপুর সংশোধনাগারেই ছিল ওই ছাত্র। সেখান থেকেই তার পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে জেল প্রশাসন।
এ দিন সকালে ইসলামপুর সংশোধনাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় কালীগঞ্জ হাইস্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্তকে। দোতলার একটি ঘরে একাই পরীক্ষা দেয় সে। পরীক্ষার শেষে খাতা জমা দেওয়ার পরে ফের তাকে ইসলামপুরের সংশোধনাগারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথম দিনের পরীক্ষা ভাল হয়েছে বলেও জানিয়েছে সে। পরীক্ষা চলাকালীন তাঁর পড়াশোনার যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে জন্য সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। কালীগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মেহফুজ আলম জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশ পেয়েই আলাদা ঘরে তার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘আইন মেনেই সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy