এটিই সেই মালগাড়ি। ছবি: এক্স।
ঝড়ের গতিতে ছুটে চলেছে একটি মালগাড়ি। তা-ও আবার চালক ছাড়া। এমনই একটি ঘটনা ঘিরে রবিবার সকালে হুলস্থুল পড়ে যায় জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায়। চালক ছাড়াই ঘণ্টায় ১০০ কিমি বেগে কাঠুয়া থেকে সেই ট্রেন পৌঁছয় পঞ্জাবে। তত ক্ষণে ট্রেনটি ৮৪ কিলোমিটার অতিক্রম করে ফেলেছিল। শেষমেশ কাঠের গুঁড়ি, স্লিপার ফেলে মালগাড়িটিকে থামানো হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া রেলস্টেশনে মালগাড়িটি দাঁড় করিয়ে চালক নেমে গিয়েছিলেন। ট্রেনের ইঞ্জিন চালু ছিল। চালক ইঞ্জিন ছেড়ে চলে যেতেই ট্রেনটি চলতে শুরু করে। ধীরে ধীরে গতি বাড়তে থাকে। কাঠুয়া স্টেশন ছেড়ে মালগাড়িটি একের পর এক স্টেশন পেরোতে শুরু করে। তখন গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। অন্য দিকে, কাঠুয়া স্টেশনে মালগাড়িটি না দেখতে পেয়েই হুলস্থুল পড়ে যায়। পরবর্তী সব স্টেশনগুলিতে যোগাযোগ শুরু করেন কাঠুয়া স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
চালক ছাড়াই একটি মালগাড়ি ছুটে চলেছে, এমন দৃশ্য দেখে লোকজনও স্তম্ভিত হয়ে যান। রেলের শীর্ষকর্তারা কাঠুয়া স্টেশনে ছুটে আসেন। তার পর সমস্ত স্টেশনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপের নির্দেশও দেওয়া হয় স্টেশনগুলিকে। চালক ছাড়াই ৮৪ কিলোমিটার ছুটে চলে মালগাড়িটি। অবশেষে পঞ্জাবের মুকেরিয়ার উঁচি বস্সিতে গাছের গুঁড়ি, স্লিপার ফেলে মালগাড়িটিকে থামানো হয়।
রেল সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ একটি মালগাড়ি দাঁড় করানো ছিল। ৫৩টি ওয়াগন ছিল তাতে। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, চালক হ্যান্ডব্রেক না লাগিয়েই ইঞ্জিন থেকে নেমে গিয়েছিলেন। ইঞ্জিন চালু ছিল। রেলপথ ঢালু থাকায় মালগাড়িটি গড়াতে শুরু করে। তার পর সেটির গতি বাড়তে বাড়তে ১০০ কিমিতে পৌঁছয়। ওই অবস্থাতেই জম্মু-কাশ্মীর থেকে পঞ্জাবে গিয়ে পৌঁছয়। রেল মন্ত্রক এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
কাঠুয়া স্টেশন সূত্রে খবর, কংক্রিট বোঝাই করা হয়েছিল ওয়াগনগুলিতে। ইঞ্জিন চালু রেখে চালক এবং সহ-চালক চা খেতে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই মালগাড়িটি গড়াতে শুরু করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy