গাজিয়াবাদের এক বাসিন্দার বাড়ির মেঝে খুঁড়ে সোমবার একটি মানবদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে গুলি করে খুন করেছিলেন গাজিয়াবাদের এক তরুণী। দেহটি লোপাটের জন্য কুড়ুল দিয়ে সেটি টুকরো টুকরোও করেন দু’জনে। এর পর প্রেমিকের বাড়ির মেঝের প্রায় ৭ ফুট গর্ত করে দেহটি পুঁতে দেন স্ত্রী। সোমবার এমনই দাবি করেছে গাজিয়াবাদ পুলিশ। খুনের অভিযোগে ওই ব্যক্তির স্ত্রী এবং তাঁদের প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বছর চারেক ধরে তদন্তের পর গাজিয়াবাদের এক বাসিন্দার বাড়ির মেঝে খুঁড়ে সোমবার একটি মানবদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের আরও দাবি, কঙ্কালটি চন্দ্র বীর নামে শহরের এক নিখোঁজের। ৪ বছর আগে চন্দ্রের স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিক মিলে এই খুন করেছেন।
সোমবার চন্দ্রের স্ত্রী সবিতা এবং অরুণ নামে তাঁদের এক প্রতিবেশীকে পাকড়াও করে গাজিয়াবাদ পুলিশ। গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপার (ক্রাইম) দীক্ষা শর্মা বলেন, ‘‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এর নাগাল পাওয়া গিয়েছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে স্বামী নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। সে সময় থেকেই এই কাণ্ডে নিজের দেওরের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে গোড়ায় বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি তদন্তকারীরা। এক সময় কেস ফাইল বন্ধও করে দেওয়া হয়। যদিও পুনরায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঠিক কী কারণে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছিল, তা খোলসা করেননি গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপার।
তদন্তকারীদের দাবি, খুনের অনেক আগে থেকেই অরুণের বাড়িতে ৬-৭ ফুট গভীর গর্ত খুঁড়ে রেখেছিলেন অভিযুক্তরা। এর পর সুযোগ বুঝে চন্দ্রকে গুলি করে খুন করেন তাঁরা। চন্দ্রের দেহ লোপাট করতেই সেটি টুকরো করা হয়। এর পর টুকরোগুলি গর্তে ফেলে তার উপর সিমেন্টচাপা দিয়ে দেন অভিযুক্তেরা। সংবাদমাধ্যমের কাছে এক তদন্তকারী আধিকারিকের দাবি, দেহ থেকে দুর্গন্ধ রুখতেই এত গভীর গর্ত খোঁড়া হয়েছিল। সোমবার ওই কঙ্কাল ছাড়াও খুনে ব্যবহৃত পিস্তল এবং কুড়ুলটি উদ্ধার করা গিয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy