প্রায় তিন মাস হতে চলল ক্লাস বন্ধ। তবু এফটিআইআই সঙ্কটে সমাধানসূত্রের কোনও ইঙ্গিত মিলল না। এ ব্যাপারে দেশের শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল সেই মামলাও। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, এ ক্ষেত্রে তারা হস্তক্ষেপ করতে চায় না। আবেদনকারী বিনীত ধন্দার বক্তব্য ছিল, পুণের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে গজেন্দ্র চৌহানের নিয়োগ নিয়ে আপত্তির জেরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। সমাধান খুঁজতে সরকারও কিছু করছে না। তাই আবেদনকারী শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন, যে সব ছাত্রছাত্রী ক্লাস করতে আগ্রহী তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুক মহারাষ্ট্র সরকার। কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।
তিন মাস ধরে জট কাটার কোনও সম্ভাবনা তৈরি না হওয়ায় আজ অনির্দিষ্টকাল অনশনের হুমকি দিয়েছেন এফটিআইআই-এর ছাত্রছাত্রীরা। গজেন্দ্রর অপসারণের দাবিতে তাঁরা এই পথে হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন বলে দাবি তাঁদের। এফটিআইআই স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন-এর প্রতিনিধি বিকাশ উরস বলেন, ‘‘সরকার যদি আমাদের দাবি না মানে আমরা অনশন চালিয়ে যাব।’’ তবে কবে থেকে এই অনশন শুরু হবে, তার কোনও নির্দিষ্ট তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। যদিও এই প্রতিষ্ঠানেরই শিল্প নির্দেশনা বিভাগের শিক্ষক অভিজিৎ দাস তিন দিন ধরে অনশন চালাচ্ছেন। আজ তাঁর সঙ্গে দেখা করেন এফটিআইআই-এর নবনিযুক্ত প্রশান্ত পাথরাবে। অনশন তোলার কথাও বলেন। ওই শিক্ষক অবশ্য অনশনের সঙ্গে মৌনব্রতও নিয়েছেন।
এর মধ্যেই আজ আবার দিল্লিতে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের সঙ্গে কথা হয়েছে গজেন্দ্রর। কী আলোচনা হয়েছে জানা যায়নি। মন্ত্রক সূত্রে দাবি, সরকার আলোচনার জন্য পথ খোলা রাখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy