Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
Fraudulent

সুযোগে সক্রিয় জাল ওষুধের কারবারিরাও

অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভিয়ার করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হওয়ায় বাজারে এখন এর চাহিদা তুঙ্গে।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
ইনদওর, নয়ডা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২১ ০৫:৫০
Share: Save:

দেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালের শয্যা, অক্সিজেনের সঙ্কট নিয়ে সমস্যা তো রয়েইছে। এরই মধ্যে সামনে এল করোনার ওষুধ নিয়ে জালিয়াতি, কালোবাজারির কথা। কোভিড আক্রান্ত ও তাঁদের পরিবারগুলির অসহায়তার সুযোগ নিয়ে চড়া দামে, ভুল ওষুধ বিক্রির একটি চক্রের সাত জনকে গ্রেফতারও করেছে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডেসিভিয়ার ইঞ্জেকশনের বদলে নিউমোনিয়ার ইঞ্জেকশন রোগীর পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছিল তারা। একই ভাবে শুধুমাত্র গ্লুকোজ ও লবন দিয়ে তৈরি জাল রেমডিসিভিয়ার ইঞ্জেকশন বাজারে সরবরাহ করার একটি চক্রের সন্ধান মিলেছে গুজরাতের সুরাতে। মধ্যপ্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় ওই জাল ওষুধ সরবরাহ করেছে চক্রটি। ওই চক্রের ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে গুজরাত পুলিশ।

অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভিয়ার করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হওয়ায় বাজারে এখন এর চাহিদা তুঙ্গে। এই ওষুধটি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে কালোবাজারির অভিযোগ উঠেছে। উত্তরপ্রদেশে, নয়ডা
পুলিশের অ্যাডিশনাল ডেপুটি কমিশনার রণবিজয় সিংহ গত কাল জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে ওষুধের কালোবাজারি নিয়ে গৌতম বুদ্ধ নগর জেলার পুলিশকে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। এই ধরনের অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে জাল বিছিয়েছিল পুলিশ। তার পরেই জাল ওষুধ চক্রের সাত জনকে গ্রেফতার করতে সফল হয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তরা রেমডেসিভিয়ারের বাক্সে নিউমোনিয়ার ইঞ্জেকশন সরবরাহ করছিল। ওষুধ সরবরাহ করতে গিয়ে করোনা আক্রান্তদের পরিবারগুলিকে শুধু ঠকায়নি তারা, বাজার মূল্যের থেকে অনেক বেশি দামে নকল ওষুধ বিক্রি করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সলমন খান, মুসির, শাহরুখ আলি, আজহারউদ্দিন, আবদুল রহমান, দীপাংশু ওরফে ধরমবীর বিশ্বকর্মা ও বান্টি সিংহ উত্তরপ্রদেশেরই বাসিন্দা। দিল্লি ও সংলগ্ন শহরগুলিতে এঁদের কেউ নার্সের কাজ করে, কেউ আবার ওষুধ প্রস্তুতকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি। যে ওষুধ সাধারণ ভাবে বাজারে সাড়ে তিন হাজার টাকায় মেলে, করোনা পরিস্থিতিতে সেগুলিই ৪০-৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছিল অভিযুক্তরা। স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এই ব্যক্তিরা নিজেদের পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে এমন জালিয়াতি চালাচ্ছিল। তাদের কাছ থেকে রেমডেসিভিয়ার ইঞ্জেকশনের ৯টি আসল এবং ১৪০টি নকল ভায়াল উদ্ধার হয়েছে। নগদ ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকাও মিলেছে অভিযুক্তদের কাছ থেকে। অভিযুক্ত ৭ জনের বিরুদ্ধে অতিমারি আইনে এফআইআর দায়ের হয়েছে।

জাল ওষুধ চক্র যে বিভিন্ন রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে তৎপর, সুরাতের পুলিশ সেই বিষয়টি সামনে এনেছে। দেখা গিয়েছে, গুজরাতের চক্রটি মধ্যপ্রদেশে জাল রেমডেসিভিয়ার ইঞ্জেকশন বিক্রি করেছে চড়া দামে।

ইনদওরের বিজয়নগর থানার ইনস্পেক্টর তাহজিব কাজি জানিয়েছেন, তদন্তে দেখা গিয়েছে, সুরাতে ধৃত জাল ওষুধ চক্রের সদস্যেরা জনৈক সুনীল মিশ্রের সহযোগিতায় গত মাসে মধ্যপ্রদেশে ১২০০টি জাল রেমডেসিভিয়ার ইঞ্জেকশন সরবরাহ করেছিল। এগুলি পৌঁছেছিল ইনদওর, দিওয়াস, জব্বলপুরে। ইনদওর থেকে মিশ্রের সহযোগী পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কাজি জানিয়েছেন, আন্তঃরাজ্য ওই চক্রটি করোনা রোগীদের সহযোগিতা করবে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিল। সেখান থেকেই ক্রেতাদের খোঁজ করত তারা। প্রতিটি রেমডেসিভিয়ার ইঞ্জেকশনের দাম ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা রাখা হত। তবে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছত জাল ওষুধ।

অন্য বিষয়গুলি:

medicines Corona virus black market Fraudulent
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE