Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Hindenburg Report

‘দেশকে টেনে কারচুপিকে ঢাকা দেওয়া যাবে না!’ আদানির অভিযোগের পাল্টা দিল হিন্ডেনবার্গ

লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’-এর তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “খুব সম্ভবত মূল বিষয়গুলি থেকে নজর ঘোরাতেই জাতীয়তাবাদকে টেনে আনছে আদানি শিল্পগোষ্ঠী।”

Gautam Adani

আদানিদের অভিযোগের পাল্টা দিল হিন্ডেনবার্গ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:২৮
Share: Save:

তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে প্রথম বারের জন্য মুখ খুলে আদানি গোষ্ঠী অভিযোগ করেছিল যে, ‘ভারতের উপর পরিকল্পিত আক্রমণ’ করা হচ্ছে। সোমবার সেই মন্তব্যের পাল্টা হিসাবেই আমেরিকান সংস্থা নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকেই জানিয়ে দিল, জাতীয়তাবাদের নাম করে কারচুপিকে লুকোতে পারবে না আদানি গোষ্ঠী।

আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’-এর তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “খুব সম্ভবত মূল বিষয়গুলি থেকে নজর ঘোরাতেই জাতীয়তাবাদকে টেনে আনছে আদানি শিল্পগোষ্ঠী।” একই সঙ্গে আদানিদের ‘দেশের উপর আক্রমণে’র অভিযোগকে বিদ্রুপ করে বলা হয়েছে, “নিজের এবং সংস্থার উল্কাসম উত্থানকে ভারতের সাফল্যের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন আদানি গোষ্ঠীর প্রধান গৌতম আদানি।” তবে সংস্থাটি যে ভারতকে খাটো করতে চায়নি এবং তাঁদের অভিযোগ যে সুনির্দিষ্ট একটি সংস্থার বিরুদ্ধে, সে কথা জানিয়ে হিন্ডেনবার্গের তরফে জানানো হয়, ভারতের গণতন্ত্রের উপর তাঁরা আস্থা রাখে। ভারত যে শীঘ্রই বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলির তালিকায় ঢুকতে চলেছে, সে কথাও জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ নিয়ে অনড় মনোভাব দেখিয়েই তারা বলেছে, “আমরা বিশ্বাস করি কারচুপি কারচুপিই, তা সে যে-ই করে থাকুন না কেন।”

‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’-এর রিপোর্টে সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে ‘জালিয়াতি’ করে ধনী হয়েছেন আদানিরা। ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানি কারচুপি করে শেয়ারের দর বাড়িয়েছেন। এই অভিযোগের পর থেকেই শেয়ার বাজার তোলপাড়। সোমবার বাজার খোলার আগে পর্যন্ত হু হু করে পড়েছে আদানিদের শেয়ারের দর। বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সংস্থা।

মঙ্গলবার হিন্ডেনবার্গের প্রকাশিত রিপোর্টে আদানিদের বিরুদ্ধে কারচুপির নানা অভিযোগ আনা হয়েছিল। রবিবার ৪১৩ পাতার জবাবে সেই অভিযোগ খণ্ডন করে আদানি গোষ্ঠী। তাদের জবাবে বলা হয়েছে, ভারতীয় আইনি ব্যবস্থা সম্পর্কে আমেরিকার সংস্থার সম্যক ধারণা নেই। ভারতের বাজারে পুঁজি সংগ্রহের প্রক্রিয়া কী ভাবে এগোয়, তা-ও জানে না ওই সংস্থা। হিন্ডেনবার্গের এই ‘অজ্ঞানতা’র উদাহরণও দিয়েছেন আদানিরা। হিন্ডেনবার্গ তাদের রিপোর্টে দাবি করেছিল, গত কয়েক বছরে আদানি গোষ্ঠীর একাধিক সংস্থার মুখ্য অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা (সিএফও) পদত্যাগ করেছেন। এই তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছে, ওই কর্তারা সংস্থার সঙ্গেই যুক্ত রয়েছেন। বৃহত্তর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তাঁরা। পদত্যাগ করেননি কেউ।

হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার তথা এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানির সম্পত্তিহানি হয়েছে। বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় এক ধাক্কায় ৪ ধাপ নেমে গিয়ে সপ্তম স্থানে চলে এসেছেন তিনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Hindenburg Report Gautam Adani Fraud
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy