লোকসভা। —ফাইল চিত্র।
সংসদে হট্টগোলের জেরে মঙ্গলবারও লোকসভায় ৪৯ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার ওম বিড়লা। গত সোমবার সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট ৭৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ১৪ জন সাংসদকে। চলতি অধিবেশনের মতো আর কোনও অধিবেশনে কখনও এত জন সংসদকে এক সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়নি। অনেকেই মনে করছেন মঙ্গলবার কার্যত বিরোধীশূন্য হয়ে গেল সংসদ।
মঙ্গলবার সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের মালা রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাজদা আহমেদ, খলিলুর রহমান। কংগ্রেসের শশী তারুর, মণীশ তিওয়ারি, কার্তি চিদম্বরম, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, এনসি-র ফারুক আবদুল্লা, এসপির ডিম্পল যাদব, ডিএমকে-র এস সেন্থিলকুমার, বিএসপির সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ দানিশ আলি, আপের সুশীল কুমার রিঙ্কু প্রমুখ। সংসদের ভিতরে অভব্য আচরণ, সংসদের গরিমা নষ্ট এবং স্পিকারকে অবমাননার অভিযোগে এই সাংসদদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। সাসপেন্ড করার প্রস্তাবটি লোকসভায় পেশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল।
সাংসদদের সাসপেন্ড করার প্রসঙ্গে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, “স্থির হয়েছিল যে সংসদে প্ল্যাকার্ড আনা যাবে না। কিন্তু নির্বাচনে হারার পরে তাঁরা (বিরোধী সাংসদ) মরিয়া হয়ে এই ধরনের পদক্ষেপ করছেন। তাই আমরা এই (সাসপেন্ড করার) প্রস্তাব আনছি।”
গত বুধবার লোকসভায় রংবোমা হানার ঘটনার পর থেকেই সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অধিবেশনে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। গত সপ্তাহের পর সোমবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে ওয়েলে নেমে স্লোগান তোলেন তাঁরা। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মোট ১৪১ জন সাংসদ সাসপেন্ড হলেন। শুক্রবার পর্যন্ত সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলার কথা। তার আগে কার্যত বিরোধীশূন্য হয়ে গেল সংসদের দুই কক্ষই।
সোমবার সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় ছিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। ছিলেন বাংলার অনেক তৃণমূল সাংসদও। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল মণ্ডল, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, অসিত মাল, শতাব্দী রায়কে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। এ ছাড়া এই তালিকায় ছিলেন ডিএমকের তিন সাংসদ টিআর বালু, এ রাজা এবং দয়ানিধি মারান।
বিজেপিকে তোপ দেগে অধীর সোমবার বলেন, ‘‘বিজেপির সংখ্যাধিক্য রয়েছে। তাই দিয়ে সংসদে পেশিশক্তি দেখাচ্ছে। সংসদকে বিজেপি এবং আরএসএসের কার্যালয়ে পরিণত করতে চাইছে।’’ বিরোধী সাংসদের সাসপেন্ড হওয়া নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, তিনি বলেছেন, ‘‘যা ঘটছে, তা হওয়া উচিত নয়। আমি ভাগ্যবান যে, আমি সাংসদ নই এখন। এ তো দেখছি পুরো পার্লামেন্ট সাসপেন্ড হওয়ার মতো অবস্থা। স্বৈরতন্ত্র চলছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ মঙ্গলবার সকালেই সাংসদদের সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy