(বাঁ দিকে) সচিন মীনা এবং সীমা হায়দর। — ফাইল চিত্র।
সীমা হায়দর এবং সচিন মীনা— বছর দুয়েক আগে দু’জনের প্রেমকাহিনি তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে। শুধু ভারতে নয়, পাকিস্তানেও সেই নিয়ে চর্চা চলেছে। কারণ, সীমা প্রেমের টানে স্বামীর সংসার ছেড়ে পাকিস্তান থেকে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁদের চার সন্তান। এ বার সেই সন্তানদের দেখতে চেয়ে ভারত সরকারের কাছে আবেদন করলেন সীমার প্রাক্তন স্বামী গুলাম হায়দর। তিনি চান তাঁর সন্তানদের পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে।
সম্প্রতি এক ভিডিয়োবার্তায় ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে ‘ন্যায়বিচারে’র দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, ২০২৩ সালের শেষের দিক থেকে সন্তানদের ফেরত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। ভারতীয় আইনজীবীও নিযুক্ত করা হয়। তবে সেই মামলাটি এখনও ভারতের আদালতে শুরু হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। গুলামের দাবি, ‘‘আদালতে মামলাটি এক বছরের বেশি সময় বিচারাধীন। আমি সন্তানদের দেখিনি। বিচারের জন্য আবেদন করছি। আমাকে আমার সন্তানদের ফেরত দেওয়া হোক।’’
সীমার সঙ্গে সচিনের প্রেম শুরু হয় ২০১৯ সালে। অনলাইন গেম খেলতে খেলতেই আলাপ হয় দু’জনের। বন্ধুত্ব পেরিয়ে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। লকডাউন পর্বে অনলাইনে চুটিয়ে প্রেম করেন তাঁরা। পরবর্তী সময়ে ঠিক করেন, একসঙ্গে সংসার পাতবেন। দু’জনে চলে যান নেপালে। পশুপতিনাথ মন্দিরে গিয়ে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। তার পর গত বছর ১৩ মে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন সীমা। থাকতে শুরু করেন গ্রেটার নয়ডায় সচিনের বাড়িতেই।
খবর পেয়ে ৪ জুলাই পুলিশ সীমাকে গ্রেফতার করে। সেই সঙ্গে সচিন এবং তাঁর বাবাকেও আটক করে জেরা করে পুলিশ। অবৈধ ভাবে প্রবেশের পাশাপাশি সীমার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিরও অভিযোগ ওঠে। প্রকাশ্যে আসে নাম ভাঁড়ানোর গল্পও। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, নেপালে বেনামে হোটেল বুক করে ছিলেন সীমারা। কেন তিনি নাম বদল করেছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত জেল থেকে ছাড়া পান সীমা। বর্তমানে সচিনের সঙ্গে সংসার করছেন তিনি। ২০২৪ সালের শেষে সীমা জানান, মা হতে চলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy