সংসদের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভ বিরোধী সাংসদেদের। ছবি: পিটিআই ।
মঙ্গলবার রাজধানীতে বসছে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক। তার আগে ঐক্যের সুর সংসদ ভবনের বাইরে। একসঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হয়ে অবস্থান বিক্ষোভে রাহুল গান্ধী, শরদ পওয়ার, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। চলতি শীতকালীন অধিবেশনে মোট ৯২ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে এবং রংবোমাকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে প্রথমে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে বিরোধীরা। পরে সংসদ ভবনের যে মূল প্রবেশদ্বার তার সিঁড়িতে বসে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় বিরোধী দলের সাংসদদের। পাশাপাশি, মাইসুরুর যে বিজেপি সাংসদের পাস জোগাড় করে অভিযুক্তেরা সংসদে প্রবেশ করেছিলেন, তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধী সাংসদেরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন। সেই অবস্থান বিক্ষোভে রয়েছেন ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলির সাংসদেরা। বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন মল্লিকার্জুন খড়্গে, অধীর চৌধুরী, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বাকি বিরোধী সাংসদ।
প্রসঙ্গত, শীতকালীন অধিবেশন শুরুর পর থেকে গত দু’সপ্তাহ যাবৎ সংসদে কংগ্রেস এবং তৃণমূল সংসদীয় দলের মধ্যে ঐক্যের চিত্র ধরা পড়েছে। সোমবার সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের শাস্তি প্রত্যাহার চেয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে চিঠি দেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা খড়্গে। সাসপেন্ড হওয়ার পর শুক্রবার ডেরেক যখন সংসদ চত্বরে ধর্না দিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে সমর্থন জানাতে এসেছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল। শুধু তা-ই নয়, মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের সময়ও কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর সরাসরি কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আবার সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর রাহুল-সনিয়া গান্ধী-সহ গোটা কংগ্রেস সংসদীয় দল মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। মঙ্গলবার বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার বৈঠকের আগে বিরোধী জোটের দলগুলির কাছাকাছি আসাকে ইঙ্গিতবহ বলেই মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবারই জোটের বৈঠকে যোগদান করবেন রাহুল ও তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে সংসদ ভবনে সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে সুর চড়াতে দেখা গেল বিরোধী সাংসদদের।
উল্লেখযোগ্য যে, সোমবারের পর মঙ্গলবারেও হইহট্টগোল সংসদ ভবনে। সংসদে রংবোমাকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবিতে সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। গন্ডগোলের জেরে দুপুর ১২টা অবধি মুলতুবি করা হয় লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন। ১২টার পর আবার অধিবেশন শুরু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy