সিব্বল প্রশ্ন তুললেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হেফাজতে আতিকের মৃত্যু নিয়ে। নিশানায় যোগী সরকার। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে কী ভাবে প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফকে ১২টি বুলেটে ঝাঁঝরা করে দিলেন ৩ আততায়ী? শনিবার রাতে প্রয়াগরাজ জেলা হাসপাতাল চত্বরে ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল সোমবার ওই হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত ৮টি ‘খটকা’ নিয়ে টুইটারে প্রশ্ন তুললেন।
রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, ছক কষেই আতিক এবং তাঁর ভাইকে খুনের ব্যবস্থা করেছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ, সে দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন সিব্বল। ‘আতিক এবং আশরফ— নিকেশ করার শিল্প’ শীর্ষক ওই টুইটে তাঁর প্রথম খটকা— ‘‘রাত ১০টায় মেডিক্যাল চেক আপ?’’ কোনও আপৎকালীন অসুস্থতা না থাকা সত্ত্বেও কেন অত রাতে আতিকদের হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সে প্রশ্ন এসেছে তার পরেই।
সিব্বলের তৃতীয় এবং চতুর্থ খটকা হাসপাতালের গেটে গাড়ি থেকে নামিয়ে আতিক-আশরফকে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং সেখানে সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি নিয়ে। প্রসঙ্গত, নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে ৫ বারের বিধায়ক এবং ১ বারের সাংসদ আতিককে গুজরাতের জেল থেকে গাড়িতে প্রয়াগরাজে এনেছিল যোগীর পুলিশ। কিন্তু শনিবার রাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় ২ বন্দির সুরক্ষার ব্যবস্থা ছিল দৃশ্যতই ঢিলেঢালা।
Atiq & Ashraf
— Kapil Sibal (@KapilSibal) April 17, 2023
(The art of elimination)
Odd:
1) 10pm for medical check up ?
2) No medical emergency
3) made victims walk
4) open to media?
5) assassins unknown to each other at the spot ?
6) weapons above 7lakhs
7) well trained to shoot !
8) All 3 surrendered
আতিকদের তিন আততায়ী লবলেশ তিওয়ারি, সানি সিংহ এবং অরুণ মৌর্য পরস্পরের অপরিচিত কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিব্বল। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে লবলেশ বান্দা জেলার বাসিন্দা, সানি হামিরপুর এবং অরুণ কাশগঞ্জ জেলার। তিন ঘাতক কোনও সংগঠিত অপরাধচক্রের সদস্য ছিলেন না বলেও প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। ফলে তাঁদের যোগসূত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই।
সিব্বলের ষষ্ঠ খটকা হত্যাকাণ্ডে অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তলগুলি নিয়ে। যেগুলির গড় আনুমানিক দাম ৭ লক্ষ টাকা। ছোটখাটো অপরাধে হাত পাকানো লবলেশদের হাতে কী ভাবে এমন অস্ত্রগুলি এল তা নিয়ে ধন্দের কথা জানিয়েছে পুলিশও। তা ছাড়া, অতর্কিতে গুলি চালিয়ে যে ‘মসৃণ’ কায়দায় আতিকদের হত্যা করা হয়েছে, প্রশিক্ষণ ছাড়া তা সম্ভব নয় বলেও টুইটারে জানিয়েছেন সিব্বল। এর পর শেষ খটকার কথা জানিয়ে প্রবীণ আইনজীবী লিখেছেন, ‘‘তিন জনেই আত্মসমর্পণ করল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy