কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে দলে স্বাগত জানালেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টারকে। ছবি: পিটিআই।
বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করে রবিবারই বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সোমবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘হাত ধরলেন’ কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশ শেট্টার।
বেঙ্গালুরুর প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে জগদীশের যোগদান কর্মসূচিতে খড়্গের পাশাপাশি ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া এবং এআইসিসির দুই সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল এবং রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের আগে লিঙ্গায়েত জনগোষ্ঠীর প্রভাবশালী নেতা, হুবলি-ধারওয়াড় কেন্দ্রের ৬ বাবের বিধায়ক জগদীশের দলবদল কংগ্রেসকে সুবিধা দিতে পারে বলে মনে করছেন ভোট পণ্ডিতদের একাংশ।
প্রসঙ্গত, বিজেপির টিকিট না পেয়ে শুক্রবার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা তিন বারের বিধায়ক লক্ষ্মণ সড়াভি। সে সময় শিবকুমার বলেছিলেন, ‘‘আরও ১০-১২ জন বিজেপি বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দিতে চাইছেন।’’ লক্ষ্মণকে বেলগাভী জেলার অথানি কেন্দ্রে টিকিট দিয়েছে কংগ্রেস। উত্তর কর্নাটকের প্রভাবশালী লিঙ্গায়েত নেতা লক্ষ্মণ কর্নাটক বিজেপির অন্দরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ‘বিএস ইয়েদুরাপ্পার ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত ছিলেন। অন্য দিকে, জগদীশের পরিচতি ‘ইয়েদুরাপ্পা বিরোধী’ হিসাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে দুর্নীতি মামলার জেরে ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সদানন্দ গৌড়াকে। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই দু’জনের বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। এর পর বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী করে ‘ইয়েদুরাপ্পা বিরোধী’ জগদীশকে। প্রতিবাদে বিজেপি ছেড়ে কর্নাটক জনতা পার্টি গড়ে ২০১৩ সালের বিধানসভা ভোটে লড়েন ইয়েদুরাপ্পা। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জগদীশের নেতৃত্বে লড়ে কর্নাটকে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল বিজেপিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy