Advertisement
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Champai Soren

বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই, বললেন, ‘নতুন সংগঠন গড়ে বন্ধু খুঁজব’

চম্পই এখনও খাতায়কলমে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের মন্ত্রিসভার সদস্য এবং জেএমএম বিধায়ক। যদিও গত সপ্তাহে অসম্মানিত হওয়ার কথা জানিয়ে দল ছাড়ার বার্তা দেন তিনি।

Former Jharkhand CM and JMM MLA Champai Soren announces to float a new political party ahead of assembly election

ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন। —ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৪ ১৮:২৯
Share: Save:

ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ছাড়তে চলেছেন তিনি। তবে কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন না ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পই সোরেন। বুধবার তিনি নিজেই এ কথা ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগেই নতুন দল গড়বেন।

চম্পই বুধবার বলেন, ‘‘আমি তিনটি বিকল্পের কথা বলেছিলাম। অবসর নেওয়া, সংগঠন গড়া এবং বন্ধুর সঙ্গী হওয়া। আমি রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছি না। নতুন সংগঠন গড়ে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাব। আমার দরজা সকলের জন্যই খোলা।’’ চম্পই এখনও খাতায়কলমে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের মন্ত্রিসভার সদস্য এবং জেএমএম বিধায়ক। যদিও হেমন্তের সঙ্গে টানাপড়েনের কারণে গত সপ্তাহেই জেএমএম ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। দিল্লি গিয়ে দেখা করে এসেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও।

চলতি বছরের শেষে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তার আগে ‘সিংভূমের টাইগার’ চম্পইয়ের দলত্যাগে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির মহাগঠবন্ধন সমস্যায় পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুধবার জানিয়েছেন, জেএমএম নেতৃত্বের সঙ্গে তিক্ততার কারণে এবং অসম্মানিত হওয়ার জন্যই তিনি নতুন রাজনৈতিক পথের সম্মানে নেমেছেন। সেই সঙ্গেই চম্পই তাঁর রাজনৈতিক গুরু তথা হেমন্তের পিতা শিবু সোরেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, ‘‘গুরুজির নেতৃত্বেই আমরা এক সময় জনজাতিদের স্বার্থে পৃথক ঝাড়খণ্ড রাজ্যের আন্দোলনে নেমেছিলাম।’’

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। হেমন্তের অনুপস্থিতিতে চম্পইকে মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করেন জেএমএম নেতৃত্ব। পাঁচ মাস রাঁচীর বিরসা মুন্ডা জেলে বন্দি থাকার পরে গত ২৮ জুন ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছিলেন হেমন্ত। তার পরেই চম্পইকে সরিয়ে জেএমএমের পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত হন তিনি। সে সময় চম্পইয়ের উপর চাপ তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিতে বাধ্য করানো হয়েছিল বলে তাঁর অনুগামীদের অভিযোগ। ৪ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে নয়া মন্ত্রিসভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাইকে হেমন্ত ঠাঁই দিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE