দশরথ মাঁজির মৃত্যুবার্ষিকিতে শ্রদ্ধা জিতনরামের। ছবি: পিটিআই।
একার হাতে ২২ বছরের চেষ্টায় পাহাড় কেটে একটা আস্ত রাস্তা বানিয়ে ফেলেছিলেন দশরথ মাঁজি। আর এ বার ভোট বৈতরণী পেরতে সেই দশরথেরই শরণাপন্ন হলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁজি। বর্তমান এবং প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, পাল্টা দাবিতে এর মধ্যেই সরগরম হয়ে উঠেছে বিহারের রাজনীতি।
আগামিকাল, শুক্রবার মুক্তি পেতে চলেছে দশরথ মাঁজির বায়োপিক ‘মাঁজি দ্য মাউন্টেন ম্যান’। কেতন দেশাই পরিচালিত এই ছবিটিকে ইতিমধ্যেই করমুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন নীতীশ। ছবিটির ভূয়সী প্রশংসা করে নীতীশ বলেন, “অসাধারণ কাজ করেছেন কেতন। আমি চাই আরও বেশি করে মানুষ দশরথের সংগ্রামকে জানুক। তাই ছবিটিকে রাজ্যে করমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।” ঘোষণায় কেতন-সহ সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত অন্যরা খুশি হলেও এই সিদ্ধন্ত একেবারেই মনোঃপুত হয়নি জিতনরামের। তাঁর দাবি, “জীবিত অবস্থায় দশরথের জন্য কিছুই করেননি নীতীশ। রাজ্যের গরীব মানুষদের জন্যও কিছু করেননি তিনি। ছবিটিকে করমুক্ত করে বিধানসভা ভোটের আগে গিমিক তৈরি করতে চাইছেন নীতীশ।” মহাদলিত দশরথকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবিও করেন জিতনরাম। দাবি করেন, তাঁর আমলের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির অধিকাংশ প্রকল্প বাতিল করেছে নীতীশ সরকার।
জিতনরামের এই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন নীতীশ। রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য তিনিই যে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন, তা-ও দাবি করেন। দশরথের সংগ্রামের কথা বলে মনে করিয়ে দেন, গত আট বছর ধরে রাজ্যে তাঁর নামে একটি প্রকল্পও চালু রয়েছে।
তবে দশরথকে নিয়ে নীতীশ-জিতনরাম তরজার অন্য ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহল। বিহারে প্রায় ২২ শতাংশ ভোট রয়েছে মহাদলিতদের। বিধানসভা ভোটের আগে সেই বিপুল ভোটকেই পাখির চোখ করছেন যুযুধান দুই নেতা। আর তাই মহাদলিত দশরথকে নিয়ে শুরু হয়েছে দুই নেতার দড়ি টানাটানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy