লালুর জেল। অলঙ্করণ: অর্ঘ্য মান্না।
পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ যাদবকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিল রাঁচীর বিশেষ সিবিআই আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানাও হল বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।
আদালতে তাঁকে আনলে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠতে পারে এই আশঙ্কা করে এ দিনও লালুকে আদালতে হাজির করানো হয়নি। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালুর সাজা ঘোষণা করেন বিচারপতি শিবপাল সিংহ।
গত তিন দিন ধরেই লালুর সাজা নানা কারণে ঝুলে ছিল। আজ, শনিবার বিকেল সাড়ে চারটের সময় লালুর সাজা ঘোষণা করেন বিচারপতি। এ দিন সকাল থেকেই লালুর সাজা নিয়ে একটা টানটান উত্তেজনা ছিল। সেই সঙ্গে আরজেডির কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে নানা মহলে জোর জল্পনা চলছিল লালুর সাজা কি তিন বছরের কম হবে, নাকি তার বেশি। যদিও শুক্রবার লালুর আইনজীবী চিত্তরঞ্জন সিন্হা আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন লালুর শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচারও হয়েছে। এই অবস্থায় তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সাজা যেন কম করা হয়।
অলঙ্করণ: অর্ঘ্য মান্না।
এ দিকে লালুর এই শাস্তিঘোষণা প্রক্রিয়ার মধ্যেই, তাঁর মেয়ে মিসার বিরুদ্ধে একটি ৮০০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মিসার স্বামী শৈলেশ কুমারের নামও এই চার্জশিটে রয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগেই ইডি তার প্রথম চার্জশিট পেশ করেছিল। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলা আদালতে উঠবে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে তুষারধসে নিখোঁজ ৪, মৃত ১
উচ্চশিক্ষায় কমেছে ভর্তি, কেন্দ্র অস্বস্তিতে
অন্য দিকে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির দেওঘর ট্রেজারি মামলায় গত ২৩ ডিসেম্বর দোষী সাব্যস্ত হন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) সুপ্রিমো লালু। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে দেওঘর ট্রেজারি থেকে বিপুল অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগেই দায়ের হয় এই মামলা। লালু তখন অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।
এই মামলায় মোট অভিযুক্ত ৩৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন। সেই সময় ক্ষমতায় না থাকায় আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্নাথ মিশ্রকে গত ২৩ ডিসেম্বরেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছেন বিচারক। মুক্তি পেয়েছেন আরও পাঁচ অভিযুক্ত। দোষীদের তালিকায় রয়েছেন লালু-সহ ১৭ জন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার বেক জুলিয়াস, ফুলচাঁদ সিংহ এবং মহেশপ্রসাদ। রয়েছেন এক বাঙালি অফিসার সুবীর ভট্টাচার্যও।
রাঁচী থেকে আর্যভট্ট খানের ভিডিও প্রতিবেদন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy