আত্মঘাতী একই পরিবারের পাঁচ সদস্য। প্রতীকী ছবি।
মোটা টাকার ঋণ নিয়ে তা শোধ করতে পারেননি। রোজই টাকা শোধ করার জন্য চাপ দিতেন ঋণদাতারা। শেষমেশ সেই চাপ সামলাতে না পেরে সপরিবারে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন এক ব্যক্তি। বিষ খেয়ে একই পরিবারের পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের আরও এক সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের নওয়াদা এলাকায়।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বিষ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫০ বছর বয়সি ফল বিক্রেতা কেদার লাল, তাঁর স্ত্রী অনিতা দেবী (৪৭), দুই কন্যা শবনম কুমারী (২০), গুড়িয়া কুমারী (১৭) ও ১৬ বছরের ছেলে প্রিন্সের। দম্পতির আরও এক কন্যা সাক্ষী কুমারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দম্পতি রাজাউলি থানার অন্তর্গত আম্বা গ্রামের বাসিন্দা। কয়েক মাস আগে নওয়াদা এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। নওয়াদা শহরের বিজয় বাজার এলাকায় ফলের দোকান রয়েছে কেদারের। গত দু’দশক ধরে সেখানেই ফল বিক্রি করতেন তিনি। নিজের ব্যবসা বাড়াতে কয়েক জন ঋণদাতার থেকে কয়েক বছর আগে ১২ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই টাকা সুদসমেত শোধ করার কথা বলেন ঋণদাতারা। টাকা শোধ করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু সে কথা শোনেননি ঋণদাতারা। অভিযোগ, টাকা শোধ না করলে পরিণতি ভাল হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল ওই ব্যক্তিকে। এর জেরেই সপরিবারে আত্মঘাতী হন ওই ব্যক্তি।
কাদের থেকে ওই ব্যক্তি টাকা নিয়েছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy