মঙ্গলবার রাতে ক্ষিপ্ত করুণাকরণ স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধ। স্ত্রীর সঙ্গে সেই আগুনে ঝলসে মারা গেলেন তিনিও। মঙ্গলবার রাতে চেন্নাইয়ের কাছে আয়নাভরমের ঠাকুরনগরে এই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার এস করুণাকরণ নামে ওই বৃদ্ধ স্ত্রী পদ্মাবতী (৬০)-র গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন। গায়ে আগুন লাগা অবস্থায় প্রতিশোধ নিতে দৌড়ে এসে স্বামীকে জড়িয়ে ধরেন পদ্মাবতী। সেই আগুনে পুড়ে দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত করুণাকরণ রেলের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানার অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলেন। স্বামীর সঙ্গে ঘরোয়া বিবাদের কারণে স্ত্রী পদ্মাবতী অনেক দিন ধরেই সন্তানদের সঙ্গে আলাদা থাকতেন। মৃত দম্পতির চার সন্তান বিবাহিত এবং শহরের আলাদা আলাদা জায়গায় থাকেন। পদ্মাবতী ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বেশির ভাগ সময়ই চার ছেলের কাছে গিয়ে থাকতেন। খুবই কম স্বামীর বাড়িতে আসতেন।
এক জন পুলিশ আধিকারিক বলেন, “মঙ্গলবার করুণাকরণ এবং তাঁর স্ত্রী পদ্মাবতী বাড়িতে একসঙ্গে ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে করুণাকরণ হোটেল থেকে শুধু মাত্র নিজের জন্য রাতের খাবার কিনে আনেন। আর তা নিয়েই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়।’’
ওই পুলিশ আধিকারিক জানান, রাত ১০টা নাগাদ বৃদ্ধ দম্পতির মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কিছু ক্ষণ পরে বিবাদ চরমে পৌঁছালে তাঁরা একে অপরকে মারধর করতে শুরু করেন। এর পরই ক্ষিপ্ত হয়ে করুণাকরণ স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পদ্মাবতীও সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে এসে তাঁর স্বামীকে জড়িয়ে ধরলে করুণাকরণের গায়েও আগুন ধরে যায়।
চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দম্পতিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। দু’জনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন বলে ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন। ওই দম্পতির দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy