Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Shooting

ভুলের মাসুল! হাসপাতালে বন্দুক নিয়ে শত্রুকে খুন করতে এসে রোগীকে গুলি আততায়ীদের

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম রিয়াজউদ্দিন। পেটের সমস্যা নিয়ে গত ২৩ জুন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। রবিবার হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে তাঁকে গুলি করেন ১৮ বছরের এক যুবক।

দিল্লির হাসপাতালে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

দিল্লির হাসপাতালে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৪ ২১:২৩
Share: Save:

হাসপাতালে বন্দুক হাতে দলবল এসেছিল এক ‘অপরাধী’-কে খুন করতে। কিন্তু ভুল করে এক রোগীকে রবিবার খুন করে পালাল আততায়ীরা। দিল্লির গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালের ঘটনা। পুলিশ মনে করছে, দুই অপরাধী গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ফল ভুগলেন ৩২ বছরের যুবক।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম রিয়াজউদ্দিন। পেটের সমস্যা নিয়ে গত ২৩ জুন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। রবিবার হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে তাঁকে গুলি করেন ১৮ বছরের এক যুবক। তাঁর নাম ফৈজ। ওই ঘরে ভর্তি ছিলেন অভিযুক্তদের শত্রু গোষ্ঠীর এক সদস্য। তাঁকে নিকেশ করাই উদ্দেশ্য ছিল আততায়ীদের। শনিবারই ২৪ নম্বর ঘর থেকে বদলি করা হয় তাঁকে। সেখানে নিয়ে আসা হয় রিয়াজউদ্দিনকে। সে কথা জানতেন না অভিযুক্তেরা।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, আপৎকালীন দরজা দিয়ে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রবেশ করছেন মূল অভিযুক্ত। সঙ্গে রয়েছেন তিন জন। পুলিশ জানিয়েছেন, অভিযুক্তেরা হাশিম বাবা গোষ্ঠীর সদস্য। আর হাসপাতালে যে অপরাধী ভর্তি ছিলেন, তিনি নাসির গোষ্ঠীর সদস্য। দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের কারণেই চলে গুলি। নাসির গোষ্ঠীর সদস্য ভেবে রিয়াজউদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন ফৈজ। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, লোনি থেকে ফৈজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর আর এক সঙ্গী ফারহানকে সিলমপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি জেরায় ফৈজ জানিয়েছেন, বাদশাহ খান ওরফে ফাহিম হলেন গোটা ঘটনার মূল চক্রী। তাঁর নির্দেশেই হাসাপাতালে ঢুকে গুলি চালিয়েছেন তাঁরা। হাসপাতালে পৌঁছনোর জন্য ফৈজকে একটি বাইকের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছিল। রেসিডেন্ট ডাক্তারদের সংগঠনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁরা বার বার হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। তবে তাতে কোনও কাজ হয়নি। দিল্লি সরকারের দিকে আঙুল তুলে তিনি জানিয়েছেন, নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা না হলে তাঁরা কাজ চালাতে পারবেন না। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Shooting gang
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE