এক তরুণীকে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর বাবার বিরুদ্ধে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, এটি ‘সম্মানরক্ষার্থে’ খুন (অনার কিলিং)। ঘটনাটি বিহারের সমস্তিপুরের। বুধবার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত বাথরুম থেকে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম সাক্ষী। গত ৭ এপ্রিল তাঁকে খুন করে বাড়ির মধ্যেই একটি অব্যবহৃত বাথরুমে দেহ ঢুকিয়ে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়। বুধবার পচা গন্ধ পেয়ে স্থানীয়েরা তরুণীর বাড়ির লোককে বিষয়টি জানান। তরুণীর বাবা ইতস্তত করতেই স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তখন তাঁরা চেপে ধরেন তরুণীর পরিবারকে। বাথরুম খুলতেই তরুণীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। তখন স্থানীয়েরাই পুলিশে খবর দেন।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ভিন্জাতের এক যুবকের সঙ্গে প্রেম ছিল সাক্ষীর। পাশের গ্রামেই থাকেন তিনি। সেই যুবকের সঙ্গে গত ৪ মার্চ পালিয়ে গিয়েছিলেন সাক্ষী। তাঁরা দু’জনে একসঙ্গে কলেজেও পড়তেন। সেখান থেকেই আলাপ। সাক্ষীর মামা বিপিন কুমার জানিয়েছেন, দিল্লি পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু আবার পালিয়ে যান সাক্ষী। ৭ মার্চ বাড়ি ফিরে আসেন। তার পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান সাক্ষী। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই রাতেই সাক্ষীকে খুন করা হয়। এই ঘটনায় সাক্ষীর বাবা মুকেশ সিংহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।