অবশেষে ভিসা পেলেন আমেরিকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রী নীলম শিন্দের বাবা-মা! শুক্রবার সকালেই তাঁরা মুম্বইয়ের মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে ভিসার জন্য ইন্টারভিউ দেন। তার পরেই জরুরি ভিত্তিতে তাঁদের ভিসা মঞ্জুর হয়েছে বলে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
চলতি মাসেই আমেরিকায় পথ দুর্ঘটনার পর কোমায় চলে যান মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা নীলম শিন্দে। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। অথচ, এত দিন ধরে আমেরিকা যাওয়ার ভিসা পাচ্ছিলেন না বাবা-মা। গত সপ্তাহে এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনার পরেই এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবু সবুজ সঙ্কেত মিলছিল না। শেষমেশ বৃহস্পতিবার তাঁদের জানানো হয়, শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ তাঁদের ভিসার ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছে। সেই মতো রাতেই মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন নীলমের পরিজনেরা। শুক্রবার সকালে তাঁদের বহুকাঙ্ক্ষিত সেই ভিসা মঞ্জুর হয়েছে। আমেরিকা যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছেন নীলমের বাবা এবং ভাই।
আরও পড়ুন:
গবেষণার কাজে গত চার বছর ধরে আমেরিকায় রয়েছেন নীলম। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়ার রাস্তায় এক গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। মাথায় চোটের কারণে কোমায় চলে যান নীলম। শরীরের একাধিক হাড়ও ভেঙে গিয়েছে তাঁর। সেই থেকে আমেরিকার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী। মহারাষ্ট্রের সাতারায় নীলমের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়। সেই থেকেই আমেরিকার ভিসা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন উদ্বিগ্ন বাবা-মা। কিন্তু বার বারই তাঁদের জানানো হয়, আমেরিকার ভিসার পরবর্তী তারিখ রয়েছে আগামী বছরে! নীলমের বাবা আনন্দ শিন্দের কথায়, ‘‘মুম্বইয়ের ভিসা অফিসে গিয়ে কাকুতিমিনতি করেও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে আমাদের অফিস থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।’’ শেষমেশ ভিসার বন্দোবস্ত করে দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নীলমের বাবা-মা। তাঁদের আবেদনে সাড়া দিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। শেষ পর্যন্ত ওই দম্পতি অসুস্থ মেয়ের কাছে যেতে পারেন কি না, সে দিকেই চোখ ছিল সকলের। সরকারি হস্তক্ষেপের এক দিন পরেই মিলল সেই খবর।