প্রতীকী ছবি।
অন্তরীক্ষে কতটা সুরক্ষিত ভারত? চিন বা অন্য কোনও দেশের সঙ্গে যুদ্ধ হলে কতটা নিখুঁত আক্রমণ চালাতে সক্ষম? যুদ্ধ পরিস্থিতিতে অস্ত্রভাণ্ডার কি পর্যাপ্ত? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই দেশে প্রথমবার আকাশশক্তি পরীক্ষার মহড়া দেবে ভারতীয় সেনা। আগামিকাল বৃহস্পতিবার থেকে দু’দিনের এই মহড়া শুরু করছে সেনার তিন বাহিনীর যৌথ মঞ্চ ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ (আইডিএস)। ক্ষেপনাস্ত্র-সহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্রের ভাণ্ডার বাড়িয়েই চলেছে চিন। বেজিংয়ের এই শক্তিবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই এই মহড়া বলে সেনা সূত্রে খবর।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীন আইডিএস-এর এই মহড়া কার্যত শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ হিসেবেই দেখছেন সেনা বিশেষজ্ঞ। কারণ ভারতের প্রতিরক্ষা ভাণ্ডারে কী কী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, তার পরীক্ষা করা হবে এই মহড়ায়। আবার শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করতে কতটা সক্ষম ভারতীয় সেনা, তার মহড়াও হবে। সেনা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই অংশ নিচ্ছে মহড়ায়। যুক্ত করা হয়েছে দেশের একটি বিখ্যাত আআইটি-কেও।
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শক্তি বাড়িয়েই চলেছে বেজিং। এ-স্যাট গোত্রের কাইনেটিক এবং নন কাউনেটিক উভয় ক্ষেত্রেই প্রভূত অগ্রগতি করেছে অস্ত্রভাণ্ডারে। ‘লেসার’ বা ‘ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক’ প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে, যার পাল্লা ভারতের অভ্যন্তর পর্যন্ত।
আরও পডু়ন: বন্ধ হোক ধর্মের নামে গণপিটুনি, মুক্ত চিন্তার পক্ষে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রীকে পত্রাঘাত বিদ্বজ্জনদের
আরও পডু়ন: কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্প-মোদির কোনও আলোচনা হয়নি, লোকসভায় বললেন রাজনাথ
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তাদের একটি সূত্রের বক্তব্য, চিনা ড্রাগনদের ক্রমাগত এই চোখরাঙানি উপেক্ষা করা ভারতের পক্ষে ছিল কার্যত অসম্ভব। তাই এই এ-স্যাট গোত্রের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে নয়াদিল্লিও কার্যত বাধ্য হয়েছে। ভারতও চিনের এই গোত্রের ক্ষেপণাস্ত্র চিহ্নিত করে আকাশেই ধ্বংস করার প্রযুক্তি তৈরি করেছে ‘মিশন শক্তি’ প্রকল্পে। দু’দিনের এই মহড়ায় সেই সব অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষাও করা হতে পারে বলে সেনার একটি সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy