তামিলনাড়ু এবং কেরলে ‘শ্রী গোপালন চিট অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড’-এর বেশ কিছু দফতরে অভিযান চালিয়ে নগদ দেড় কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই চিটফান্ড সংস্থাটি ‘গোকুল চিট ফান্ড’ নামেই অধিক পরিচিত, যার মালিক এএম গোপালন ওরফে গোকুলম গোপালন। তিনি মালয়লি সিনেমা ‘এল২: এমপুরন’-এর অন্যতম প্রযোজকও। চলচ্চিত্রটির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতাদের একাংশ। এই বিতর্কের আবহে গত শুক্রবার ওই চিটফান্ড সংস্থার দফতরগুলিতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সম্প্রতি বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন (ফেমা)-এর আওতায় প্রায় ১০০০ কোটি টাকার তছরুপের তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। ওই তদন্তের সূত্র ধরেই শুক্রবার দক্ষিণের চিট ফান্ড সংস্থার দফতরগুলিতে অভিযান চালান তদন্তকারী আধিকারিকেরা। ইডি সূত্রে খবর, এই তছরুপের ক্ষেত্রে হাওয়ালার মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করা হয়েছে বলেও সন্দেহ করছেন তাঁরা।
মূলত দক্ষিণি রাজ্যগুলিতে এই চিটফান্ড সংস্থাটি অধিক পরিচিত হলেও দিল্লি, হরিয়ানাতেও এই সংস্থার অফিস রয়েছে। তামিলনাড়ু, কেরল, তেলেঙ্গানা, পুদুচেরি, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, নয়াদিল্লি, হরিয়ানা-সহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে এই সংস্থার দফতর। অতীতেও এই চিটফান্ড সংস্থার ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছিল। কর ফাঁকির অভিযোগে ২০১৭ সালের এপ্রিলে তিনটি রাজ্যে গোকুল চিট ফান্ডের বিভিন্ন দফতরে হানা দিয়েছিলেন আয়কর আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন:
এ বার বৈদেশিক মুদ্রার তছরুপ সংক্রান্ত মামলায় ফের এই চিট ফান্ড সংস্থার উপর নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। কর্নাটক, তামিলনাড়ু (চেন্নাই), কেরল (কোচি)-সহ মোট পাঁচটি জায়গায় শনিবার অভিযান চালান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, ওই অভিযানে বেশ কিছু আর্থিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু ডিজিটাল নথিও সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। চেন্নাইয়ের একটি অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে নগদ প্রায় দেড় কোটি টাকাও।