ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে তামাক মুক্ত এলাকা হিসাবে ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের।
প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করার জন্য বেশ কয়েক বছর আগেই আইন পাশ হয়েছিল। কিন্তু প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করা যায়নি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে দেশের সমস্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য সেবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। প্রকাশ্যে ধূমপান নিয়ন্ত্রণ আইনকে কার্যকর করতেই নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ।
সম্প্রতি দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জেলা প্রশাসনকে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সেখানে পরিষ্কার ভাবে বলা হয়েছে, কেবল মাত্র বিড়ি বা সিগারেট নয়, সমস্ত ধরনের তামাকজাত পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘দেশের সমস্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে তামাক মুক্ত ঘোষণা করতে হবে। বিড়ি, সিগারেট, গুটখা-সহ তামাকজাত চিবিয়ে খাওয়ার সব ধরনের জিনিসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ধরা পড়ল বুলন্দশহরের ইনস্পেক্টরের খুনি, কী ভাবে খুন জানাল সে
এই নির্দেশিকা অনুসারে, প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের প্রিসাডিং অফিসারকে নোডাল অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হবে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে তামাক মুক্ত রাখার দায়িত্ব তাঁদের কাঁধেই থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
স্বাস্থ্য সচেতনতার লক্ষ্যে প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সতর্কীকরণ বার্তা-সহ ব্যানার টাঙানো হবে নির্বাচন কমিশনের তরফে।
কিছু দিন আগে দিল্লি সরকারের তরফে এই প্রস্তাব দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। সেই অনুরোধকে মান্যতা দিয়েই এই নির্দেশিকা জারি করল কমিশন।
আরও পড়ুন: লাভের মুখ না দেখলে ২০১৯-এ মূল্য চোকাতে হবে মোদীকে, হুঁশিয়ারি কৃষকদের
দিল্লি সরকারের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর (স্বাস্থ্য) এসকে আরোরা জানিয়েছেন, ‘‘নির্বাচনের দিন আমাদের দেশের প্রাপ্ত বয়স্কদের একটা বড় অংশ নির্বাচনী কেন্দ্রে আসেন নিজেদের ভোট দিতে। তাই দেশের প্রাপ্ত বয়স্কদের ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করার জন্য ওই দিনটি কার্যকর হয়ে উঠবে।’’
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy