আজমল আমির কাশভ। —ফাইল চিত্র
ফাঁসি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার পরও যেন আজমল কাসভের ভূত পিছু ছাড়ছে না। মুম্বই হামলায় ধরা পড়ে একমাত্র জীবিত জঙ্গির ফাঁসির ছ’বছর পূর্তির মুখেই এমন এক কাণ্ড সামনে এল, যাতে চাকরি খোয়ানোর জোগাড় উত্তরপ্রদেশের এক তহশিলদারের। আপতত তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
কী হয়েছে সেখানে? এমন কাণ্ড ঘটেছে, যে ফাঁসির পরও আজমল কাসভ হয়ে গিয়েছে ভারতের বাসিন্দা। মাস খানেক আগে আরারিয়া জেলার বিধুনা তহসিলে একটি বসবাসের প্রমাণপত্রের আবেদন আবেদন পত্র জমা পড়ে। আবেদনকারীর নাম আজমল আমির কাসভ। বাবার নাম মহম্মদ আমির। জন্ম বিধুনাতে। আবেদনের সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল আজমল কাসভের ছবিও। সঙ্গে নথিপত্র। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, সেই আবেদনপত্র যাচাই না করেই গত ২১ অক্টোবর বসবাসের শংসাপত্র দিয়ে দেন তহশিলদার।
বিষয়টি নজরে আসতেই কার্যত ঘুম ছুটে যায় প্রশাসনের কর্তাদের। ছুটে যান আবেদন পত্রে দেওয়া ঠিকানায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ওই ওই নামে কেউ থাকেন না। কে ওই আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন, তারও কোনও খোঁজ মেলেনি। এর পরই ওই তহশিলদারকে সাসপেন্ড করে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: রাস্তার নামে সামরিক প্রকল্প বানাচ্ছে চিন, বিক্ষোভ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে
আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।
বিধুনার মহকুমা শাসক প্রভেন্দ্র কুমার সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনা সামনে আসতেই আমরা বিভাগীয় তদন্ত শুরু করি। গ্রামে গিয়ে খোঁজ নিয়ে যখন বোঝা যায় পুরোটাই ভুয়ো, তখন জাতীয় তথ্যকেন্দ্রে (ন্যাশনাল ইনফরমেটিকস সেন্টার) বিষয়টি জানিয়ে ওই সার্টিফিকেটটি বাতিল করার আর্জি জানানো হয়। সেই মতো এনআইসি সেটি বাতিল করে দিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ‘যেই হোন না কেন, কিস্যু করতে পারবেন না...’ চন্দননগরে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা মহিলা বিচারকের
কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে না দিলেও প্রাথমিক ভাবে প্রশাসনিক কর্তাদের অনুমান, কেউ মজা করেই এই কাজ করেছেন। তবে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আর সাসপেন্ড হওয়ার পর তহশিলদার এখন খুঁজছেন, এত বড় ‘মস্করা’ তাঁর সঙ্গে কারা করল!
২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর মুম্বইয়ে জঙ্গি হানায় ১০ জঙ্গির মধ্যে একমাত্র কাসভই ধরা পড়ে। বাকিদের মৃত্যু হয় পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে। ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলে তার ফাঁসি হয়।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy